মোট আক্রান্তের নিরিখে আগেই চীন, ইরান, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। ৩৯-৪০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে দৈনিক বৃদ্ধি বৃহস্পতিবার এক লাফে বেড়ে হয়েছিল প্রায় ৪৬ হাজার। শুক্রবার তা পৌঁছে গেল ৪৯ হাজারে! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৩১০ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৪৫ জন।
আক্রান্তের পাশাপাশি সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ১৩.৯৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গোড়া থেকেই কার্যত সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫০২ জন। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৬৪ জন। দিল্লীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৬৪ জন। সংক্রমণ তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। কর্ণাটকে মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ৮৬৩ জন ও অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৭২ হাজার ৭১১ জন।
আক্রান্তের পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু বেড়ে ৩০ হাজার পার করল। যার জেরে মৃত্যুর নিরিখে স্পেনের পর ফ্রান্সকেও টপকে গেল ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭৪০ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৩০ হাজার ৬০১ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১২ হাজার ৮৫৪ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লীতে প্রাণ গিয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ জনের। ৩ হাজার ২৩২ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃত্যু-তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। তবে ভারতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ হাজার ৬০২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক দিনের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট ৮ লক্ষ ১৭ হাজার ২০৮ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।