দেশজুড়ে টানা লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক অবসাদের পরিমাণ আগের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে। যার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে গার্হস্থ্য হিংসার মত ভয়ানক ঘটনাও। এর আগে বহু রিপোর্টেই এমন ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল। এবার সেই অনুমানেই শিলমোহর দিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা জানালেন, লকডাউন কার্যকরী হওয়ার ফলে দেশের রেড জোন গুলিতে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা অত্যাধিক হারে বেড়ে গিয়েছে। যদিও ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
গবেষকরা দাবি করেছেন, ধর্ষণের ঘটনা তুলনায় কম হলেও একেবারেই যে নেই তা নয়। ধর্ষণ, নাবালিকা যৌন হেনস্থা, নারী নির্যাতন, গার্হস্থ্য হিংসার মত ঘটনা দিনদিন বেড়েছে এই সব এলাকায়। মূলত রেড জোন গুলিতে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনো একেবারেই নিষেধ। সেই কারণে বাড়িতে থাকতে থাকতে মানুষের মধ্যে অবসাদ তৈরি হয়েছে বেশি মাত্রায়। সেই থেকেই গার্হস্থ্য হিংসার সূত্রপাত। একইসঙ্গে ওই সব এলাকায় বেড়েছে যৌননিগ্রহ এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা।
এর আগে বিভিন্ন সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, ভারত সহ একাধিক দেশে লকডাউন কার্যকরী হওয়ায় মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের। তার মূল কারণ চাকরি চলে যাওয়া। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের চিন্তায় সাধারণ মানুষের দিনযাপন। দুইয়ে মিলে লকডাউন কার্যত বন্দী দশা আবহ তৈরি করেছে দেশজুড়ে। তার ফলেই গার্হস্থ্য হিংসার মতো ঘটনার বৃদ্ধি। জাতীয় মহিলা কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, গত মে মাসে গার্হস্থ্য হিংসা অভিযোগ জমা পড়েছিল প্রায় ৪০০ টি। ঠিক এক বছর আগে মে মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ২৬৬।