করোনা আবহে এবছর সব সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই অনেক নিয়ম-নীতি মানতে হচ্ছে। একই রকমের নিয়ম মানতে হবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও। শুক্রবার গাইডলাইন দিয়ে তা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই গাইডলাইনে জানানো হয়েছে দিল্লির লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান কিছুটা ছোট হচ্ছে। ঠিক তেমনই বাকি দেশের অর্থাৎ সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জেলা এমনকি পঞ্চায়েত স্তরে কী ভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে, তারও গাইডলাইন দিল কেন্দ্র।
দিল্লীতে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পতাকা তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারেও সেই অনুষ্ঠান হবে। তবে তা কিছুটা ছোট করা হয়েছে। অর্থাৎ এ বছর লালকেল্লার অনুষ্ঠান শুরু হবে প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনী ও দিল্লী পুলিশের গার্ড অফ অনার দেওয়ার মাধ্যমে। তারপরে পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। ২১ তোপের সেলামি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তারপর ফের একবার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে ও তেরঙা বেলুন আকাশে ছেড়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হবে।
কেন্দ্রের তরফে গাইডলাইন দিয়ে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি এবং সব রাজভবনে রাজ্যপালরা এই অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন। তবে সব জায়গায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই গাইডলাইনে। সেখানে বলা হয়েছে, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সকাল ৯টার পরে পতাকা উত্তোলন হবে। রাজ্যের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করবেন। তাঁকে পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনী, হোম গার্ড, এনসিসির সদস্যরা গার্ড অফ অনার দেবেন। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীরা ভাষণ দেবেন।
তবে করোনা আবহে সব জায়গায় যেন জন-সমাগম কম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আসবেন, তাঁরা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, মাস্ক পরেন, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করেন সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এইসব অনুষ্ঠানে করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান জানানোর জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যগুলিকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সেই একই নির্দেশিকা জেলাস্তর, মহকুমা স্তর ও পঞ্চায়েত স্তরের প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। অর্থাৎ সব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু তার আয়তন অনেক ছোট হবে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এছাড়া স্বাধীনতা দিবসের দিন রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন ও মাইক বসিয়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুলিশ ও মিলিটারি ব্যান্ডের পারফরম্যান্স দেখানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের গাইডলাইনে। বৃক্ষরোপণ করা যেতে পারে, কুইজ, গান, নাচ, দেশাত্মবোধক বক্তৃতার প্রতিযোগিতা হতে পারে ওইদিনে। সরকারের তরফে কোনও বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন বা কোনও প্রকল্পের সূচনা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে গাইডলাইনে।