করোনা যুদ্ধে অত্যন্ত ভাল লড়াই করা সত্ত্বেও, ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত ভাবে বদনাম করা হচ্ছে বাংলার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন রাজ্যে ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট পাঠিয়ে তা ফের ফিরিয়ে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবার আইসিএমআর-এর পাঠানো করোনা টেস্ট কিট সংশয় দেখা দিল রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে। যার ফলে আবারও গর্জে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের অভিযোগ, অন্তর্ঘাতের উদ্দেশ্যেই এই ত্রুটিযুক্ত কিট বাংলায় পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ওই কিট ব্যবহার করার পরে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা একলাখে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন ট্রুপিসিআর কিট নিয়ে চিকিৎসকদের সন্দেহের বিষয়টি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে জানানো হয়। তার জেরে কিটের মান পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে আইসিএমআর-এর দেওয়া নতুন কোভিড কিট ফেরত নিয়ে পুণেতে তৈরি পুরনো কিট পাঠানোর অনুরোধ জানায় রাজ্য।
কিন্তু দিল্লী জানায়, এই একই কিট অন্যান্য রাজ্যে ব্যবহার করে সুফল পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়, এই কিট ব্যবহারের জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। এরপরেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কয়েক জন আধিকারিকের অভিযোগ, কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ফলেই করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। আবার প্রশাসনের একাংশের দাবি, জেনে বুঝেই বাংলায় ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠানো হয়েছে। রাজ্যে করোনা প্রকোপের মাত্রা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রচেষ্টা, এমন অভিযোগ করেছেন এনআরএস রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা চিকিৎসক শান্তনু সেনও।