করোনা মোকাবিলায় জারি একটানা লকডাউনের ধাক্কায় রাজস্ব সংগ্রহ কমেছে কেন্দ্রের। এই ঘাটতি মেটাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ধার নিচ্ছে তারা। সরকারের হাতে নগদের জোগান বাড়ানোর জন্য তাদের ঋণপত্র কিনছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু চলতি সঙ্কটে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না বলে সাফ জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি এ-ও জানান যে, শুধু ভারত নয়, বহু উন্নয়নশীল দেশই এই পথে নগদ সংগ্রহের রাস্তায় হাঁটছে।
রাজনের কথায়, সরকারকে মনে রাখতে হবে, আদতে বাজারে চাহিদা কম। সাধারণ মানুষ খরচ না করে সঞ্চয়ের দিকে জোর দিচ্ছেন। ব্যাঙ্ক ঋণের চাহিদাও সন্তোষজনক নয়। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কগুলির হাতে উপচে পড়ছে নগদ। ঋণ দিতে না পেরে বা দেওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে সেই টাকা তারা শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখছে। অল্প হারে হলেও গুনছে রিভার্স রেপো রেটে সুদ। সেই টাকাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারকে ধার দিচ্ছে ঋণপত্র কিনে। ফলে সেই তহবিলের পিছনেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের খরচ রয়েছে। সে কারণে নগদের জোগানের ক্ষেত্রে এটা দীর্ঘমেয়াদি রাস্তা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজন। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কগুলি তহবিল জমিয়ে না রেখে ঋণ বাড়ালে এবং দেশ বৃদ্ধির মুখ দেখলেই স্বাভাবিক গতি ফিরবে অর্থনীতিতে।