লাদাখ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সামরিক নিরাপত্তার স্বার্থে এবার আরও একটি পদক্ষেপ করল ভারত। প্রতিবেশী দেশগুলির তরফে বৈদেশিক বাণিজ্যে করার জন্য সীমান্তের এলাকা ব্যবহার করায় নিষেধাজ্ঞা বসাল।
গত মাসের ১৫ তারিখ পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সৈন্যবাহিনীর অশান্তির জের এখনও বহাল। সেই দিনের সংঘর্ষে একাধিক ভারতীয় সেনা শহীদ হন। তার পরে বিস্তর আলোচনার পরে শান্তিচুক্তি স্থাপিত হয়। কিন্তু খবর, এখনও লাদাখের কিছু জায়গায় চীনের বাহিনী থেকে গেছে। এর পরেই সম্ভবত আরও বেশি সতর্ক ভারত।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে যে সব দেশ স্থলসীমান্ত দ্বারা সংযুক্ত রয়েছে, তারা বাণিজ্যের কারণে সীমান্ত ব্যবহার করতে চাইলে নির্দিষ্ট মালিকানার সঙ্গে রেজিস্টার্ড থাকতে হবে। বলা হয়েছে, ‘ডিপার্টমেন্ট অফ প্রোমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড দ্বারা নির্মিত বিশেষ রেজিস্ট্রেশন কমিটির কাছে নাম লেখাতে হবে বিদেশের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে। সেখান থেকে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র মিললে তবেই বাণিজ্যের কারণে ভারতের সীমান্ত ব্যবহার করতে পারবে দেশগুলি।’
মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে কোনও রকম বাণিজ্যেক লেনদেন, তা বস্তনির্ভর হোক বা কোনও পরিষেবা – সবক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানতে হবে। খুব কম ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম ঘটবে এই নিয়মের। যেমন এখন বিশ্বজুড়ে চলা মহামারীর আবহে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেডিক্যাল পণ্য আনাগোনায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই নতুন নিয়ম চালু করার জন্য ২০১৭-র আর্থিক বিধি সংশোধনও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যে নির্দেশটি চূড়ান্ত হয়েছে, তাতে আরও বলা হয়েছে, যে দেশগুলিকে ভারত সাহায্য করে সেগুলিকে এই তালিকা থেকে ছাড় দেওয়া হতে পারে। সরকারি সূত্রের মতে, এর সুফল পাবে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার। কার্যত বাণিজ্য নিয়ে ভারতের এই নতুন পদক্ষেপের নিশানা যে মূলত চীন ও পাকিস্তান, তাতে সন্দেহ নেই।