এর আগেও দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বার প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রেকর্ড গড়ে চলেছে। অথচ দীর্ঘ লকডাউনের পথ পেরিয়ে এসেছে গোটা দেশ। এখনও সংক্রমণ রুখতে বিচ্ছিন্নভাবে লকডাউন করছে বিভিন্ন রাজ্য। কিন্তু গোটা দেশে সামগ্রিক লকডাউন এখন আর নেই। এই পরিস্থিতিতে করোনার প্রবল প্রতাপ কীভাবে রোখা সম্ভব, তা নিয়েই ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সপ্তাহে দুদিন করে গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু গোটা দেশের মত বাংলাতেও লাগাম বাড়ছে করোনা পরিস্থিতি। তাই এমন পরিস্থিতিতে ফের কেন্দ্র-রাজ্য যৌথভাবেই যে করোনার মোকাবিলা করতে হবে, তা বুঝেই বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে কথা বলার সুযোগ পান না বলে প্রধানমন্ত্রীর করোনা-সংক্রান্ত বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। উল্লেখ্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে বারবার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যে বার বৈঠকে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, সেখানেও এ রাজ্যে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শেষ বৈঠকে নবান্নে যে তালিকা দিল্লী থেকে পাঠানো হয়েছিল, তাতে ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে বলার সুযোগ পেয়েছিল মাত্র ১৩টি রাজ্য, যার মধ্যে ছিল না বাংলার নাম। এর কোনও ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় সরকারও দেয়নি। ফলে সেই বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তাদের পাঠালেও নিজে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী।