সরকারি অর্থ পরিচালন ব্যবস্থা পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় সার্ভার হ্যাক হলে পুরো ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এদিকে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষের পর চীনা হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাইবার হানার হাত থেকে রাজ্যের সরকারি কোষাগারকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা আরও আঁটসাট করার উদ্যোগ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ট্রেজারি, রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প রেভিনিউ, আবগারি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিসকে সেই লক্ষ্যে জোড়া হবে সুরক্ষিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এ জন্য শীঘ্রই ওই সব অফিসে মাল্টি-প্রোটোকল লেবেল সুইচিং এবং ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক চালু হবে বলে খবর।
অর্থ দফতরের কর্তাদের দাবি, এর ফলে কোষাগারে সাইবার হানা ঠেকানো যাবে। কমবে হ্যাকিং, গোপন তথ্য ফাঁস কিংবা তথ্য বিকৃতির মতো সাইবার অপরাধ। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর-রাজস্ব সংগ্রহের জন্য যে সব সরকারি অফিস রয়েছে, সেখানকার যাবতীয় লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ সরাসরি চলে যাবে সল্টলেকের স্টেট ডেটা সেন্টার তথা রাজ্য তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্রে। সঙ্গেসঙ্গে সে তথ্য জেনে যাবেন নবান্নের কর্তারা।
শুধু তাই নয়। রাজ্যের ভাঁড়ারের হাল এখন কেমন, সেটা জানতে প্রশাসনের কর্তাদের আর অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সবটা মাথায় রেখেই এবার রাজ্যের তরফে সরকারি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা ঢেলে সাজার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহরে অবস্থিত ট্রেজারি, রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প রেভিনিউ, আবগারি এবং রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার ডিরেক্টরেটের অধীনে ৫৮৯টি সেন্টারে এমপিএলএস-ভিপিএন তথা মাল্টি-প্রোটোকল লেবেল সুইচিং- ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক চালু হবে। প্রকল্প রূপায়ণের ভার দেওয়া হয়েছে রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থা ওয়েবেলকে। তারা টেন্ডারও ডেকেছে।