ক্রমে বেনজিরভাবে সংঘাতের পথে এগিয়ে চলেছে আমেরিকা ও চীন। কয়েকদিন আগেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে টেক্সাস প্রদেশের হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেয় ওয়াশিংটন। এবার তারই পাল্টা দিয়ে শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের আদেশ দিল বেজিং।
এদিন এক নির্দেশিকা জারি করে বেজিং জানিয়েছে, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনওরকম কাজ চালানো যাবে না। একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করেছে আমেরিকা। এভাবে আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভাঙা হয়েছে। এই বিষয়ে চীনা বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, ‘আমেরিকার একতরফা সিদ্ধান্তের জেরেই আইন মেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চীন এবং আমেরিকার মধ্য বর্তমানে যা পরিস্থিতি তা বেজিং কখনওই চায়নি। এই দায় আমেরিকার। আমরা আরও একবার অনুরোধ করব, আমেরিকা যাতে তাদের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়।’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশগলগত দিক থেকে চেংদুর দূতাবাসটি আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সেখানে প্রায় ২০০ কর্মী রয়েছেন। তাঁদের আপাতত অন্য মার্কিন দূতবাসে বিয়ে যাওয়া হবে না দেশে ফেরত পাঠান হবে, তা জানা যায়নি। উলেখ্য, দু’দিন আগেই তথ্য চুরি ও চরবৃত্তির অভিযোগে নজিরবিহীনভাবে টেক্সাসের হিউস্টন শহরের চীনা দূতাবাসটি শুক্রবারের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চীনকে নির্দেশ দেয় আমেরিকা। শুধু তাই নয়, মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও চীনের সমালোচনা করে দাবি করেছেন, গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল চীনা দূতাবাসটি। পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও ওই চীনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলেছেন। তাঁর দাবি, হিউস্টনের চিনা কনসুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে, প্রভাব খাটায়। মার্কিন ন্যায়বিচার দপ্তর ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থা থেকে কোভিড-১৯ অতিমারী সংক্রান্ত ওষুধপত্রের গোপন নথি চুরির চেষ্টার দায়ে দুজন চীনা হ্যাকারকে অভিযুক্ত করেছে।