লকডাউনের জেরে ক্রমাগত বাংলা বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। তাই এই দাম নিয়ন্ত্রণে এবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিল নবান্ন। ক্রমাগত বাড়তে থাকা আলুর দাম কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পাঁচদিন সময় দিয়েছে প্রশাসন। সেইসঙ্গে কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুত রাখার পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে কম দামে আলু বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে আলুর দাম। রাজ্যের বেশিরভাগ বাজারেই জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম তো আরও বেশি। এই আলু ৩৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা হয়ে গ্রামীণ এলাকা, প্রায় সব জায়গাতেই ছবিটা একইরকম। আর এতেই নাকি ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই অবিলম্বে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন আলুর দাম কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়েই নবান্নে একটি বৈঠক বসেছিল। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রবিবার থেকে রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্টলে ২৫ টাকা করে প্রতি কিলো আলু বিক্রি করবে সরকার। এছাড়া আলুর দাম কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের আরও ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই বাজার দাম কমাতে হবে ব্যবসায়ীদের। নইলে এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নেবে সরকার।
জানা গিয়েছে, দাম বাড়ার আরও একটি কারণ হল আলু মজুত রাখা। চাহিদা বৃদ্ধি করে দাম বাড়ানোর জন্য অনেকেই কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুত রেখে দিচ্ছেন। যার ফলে বাজারে আলুর যোগান কম হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। এই কারণে সরকার এদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোল্ড স্টোরেজে ৪০ বস্তার বেশি আলু কেউ মজুত করে রাখতে পারবেন না।