সেনা সরিয়েছে কি চীন? দুই দেশের সেনার কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো (ডিসএনগেজমেন্ট)শুরু করে দুই দেশই। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল চীনের সেনা ঠিক কতটা সরেছে। ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার যে জায়গায় চীন ও ভারতীয় বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছিল সেই পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার সরেছে লাল ফৌজ। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তথা এলএসি বরাবর তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চীনা বাহিনী।
ঠিক কোথায় কোথায় চীনা সেনার অবস্থান ধরা পড়েছে? সেনা সূত্র জানাচ্ছে, দেপসাং সমতলভূমি, গোগরা এবং প্যাঙ্গং লেক ও তার উত্তরে পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে চীনা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ওই তিন এলাকায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চীন। সেই সঙ্গে রয়েছে তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, সাঁজোয়া গাড়ি, বুলডোজার, ট্রাক ও প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র।
পিপি ১০, পিপি ১১, পিপি ১২ ও পিপি ১৩ পয়েন্ট রয়েছে উত্তর লাদাখে, দেপসাং সমতলভূমি বরাবর। রাকি নালা থেকে জীবন নালা পর্যন্ত, যেটা এলএসি-র কাছাকাছি পড়ে না। এই পয়েন্টগুলো ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর থেকে এই দেপসাং ভূমিতেও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চীনা বাহিনী। ফলে এই পেট্রোলিং পয়েন্টগুলোতে টহল দিতে পারছে না ভারতীয় সেনা।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, চীনা বাহিনীর অন্তত ১১টি হাই স্পিড ইন্টারসেপ্টর বোট এখনও ঘোরাফেরা করছে প্যাঙ্গং লেকের জলে। প্যাঙ্গং সো রেঞ্জের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ ও ফিঙ্গার পয়েন্ট ৫ এর মাঝামাঝি এলাকা থেকে চীনের সেনা কিছুটা পিছিয়েছে ঠিক, তবে এলাকা পুরোপুরি ফাঁকা হয়নি। কয়েকটি তাঁবু, কিছু বুলডোজার ও সামরিক সরঞ্জাম সরানো হয়েছে মাত্র। ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪-এ এখনও চীনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।