সম্বল বলতে ছিল ওই গরুটাই। দুধ বেচেই হত রোজগার। কিন্তু তার থেকেও জরুরি সন্তানদের লেখাপড়া। আর অনলাইন লেখাপড়ার জন্য দরকার একটা স্মার্টফোন। অনেক চেষ্টা করেও সেই টাকাটা জোগাড় করা যায়নি। তাই দুই সন্তান অন্নু আর দীপ্পুর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ৬ হাজার টাকায় বেচে দিলেন গরু। এই ঘটনা বিজেপি শাসিত হিমাচলপ্রদেশের।
সেই মার্চ মাস থেকে বন্ধ স্কুল। চলছে অনলাইন ক্লাস। বাকিরা লেখাপড়া করতে পারলেও জ্বালামুখীর গুমার গ্রামের কুলদীপ কুমারের সন্তানরা পিছিয়ে পড়ছিল। বাকিদের বাড়িতে স্মার্টফোন থাকলেও ওদের বাড়িতে ছিল না যে। কুলদীপের দুই সন্তানের অন্নু পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে আর দিপ্পু দ্বিতীয় শ্রেণিতে। স্কুল থেকে বারবার স্মার্টফোন কিনতে বলা হয়। স্কুলকে কুলদীপ জানিয়েছিলেন, স্মার্টফোন কেনার মতো টাকা নেই তাঁর কাছে। ৫০০ টাকাও নেই।
কিন্তু অনলাইন ক্লাস করার জন্য ফোন ছাড়া উপায়ও তো নেই। টাকা জোগাড়ের চেষ্টাও কম করেননি কুলদীপ। কিন্তু কেউই সাহায্য করেনি। ঋণের আবেদন করেও লাভ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত একমাত্র সম্বল গরু বিক্রি করেই জোগাড় করেছেন স্মার্টফোন কেনার টাকা।
গ্রামে মাটির বাড়িতে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন কুলদীপ কুমার। নেই বিপিএল কার্ড, মেলেনি আবাসন প্রকল্পে পাকা বাড়ি বানানোর সুযোগও। ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইআরডিপি) কর্মসূচির কোনও সুবিধাও পাননি। পঞ্চায়েতে আবেদন করেও নাকি সেই সুবিধা মেলেনি। গরিব সংসারে সম্পদ হিসেবে থাকার মধ্যে ছিল একটা গরু। সেটাও বেচে দিতে হল।