শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, সম্প্রতি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীনও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ইংল্যান্ড তারকা ক্রিকেটার জোফ্রা আর্চার। আর তারপরই আর্চারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দলের এক সঙ্গী। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সেই এই বিষয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার জিমি অ্যান্ডারসন।
সেখানেই প্রশ্ন উঠল, আর্চার কি মানসিকভাবে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টেস্টে খেলার মতো জায়গায় আছেন? একটু ভেবে অ্যান্ডারসনের জবাব, ‘‘এই ক’দিন নিভৃতবাসে ছিল আর্চার। যার ফলে আমাদের সঙ্গে সে ভাবে দেখা হয়নি। তবে যত দূর ওকে চিনি, বলতে পারি, খেলার জন্য মুখিয়ে আছে আর্চার। এই সিরিজটা ১-১ অবস্থায় রয়েছে। তৃতীয় টেস্টটা তাই এখন দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। ’’
কিন্তু আর্চারের নিজের কথার মধ্যে যন্ত্রণাবিদ্ধ মানুষের ছবি ফুটে উঠেছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে খেলার মতো অবস্থায় কি ফিরতে পারবেন তিনি? এই বিষয়ে অ্যান্ডারসনের মন্তব্য, ‘‘নিজের মানসিক অবস্থার কথাটা আর্চার বলেছে। এখন দু’দিনের মধ্যে ওকে কোচ, ক্যাপ্টেনের সঙ্গে বসতে হবে। তার পরে দেখতে হবে, মানসিক ভাবে আর্চার খেলার মতো অবস্থায় আছে কি না।’’
আপনি কী পরামর্শ দেবেন আর্চারকে? অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘‘এ রকম পরিস্থিতিতে এই চাপ সামলানোটা সত্যিই কঠিন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রচারের আলো অনেক বেশি করে খেলোয়াড়দের উপরে থাকে। তাই এর থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে নিতে হয়। কখনও কখনও নিজেকে একটা আস্তরণের মধ্যে গুটিয়ে ফেলতে হয়।’’
এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ার বিশেষজ্ঞদের কটাক্ষ করে অ্যান্ডারসনের বক্তব্য, “আমার ভাগ্য ভাল ছিল, যখন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করি, তখন এই সব সোশ্যাল মিডিয়া বলে কিছু ছিল না। এখন তো নিজেদের মতামত জানিয়ে দেওয়ার অনেক রাস্তা আছে। আর সেই মতামত সকলের কাছে পৌঁছেও যায়।’’ এই অবস্থায় আর্চারের সামনে সমাধান কী? অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘‘এই রকম কাঁটাছেড়া থেকে নিজেকে আড়ালে রাখতে হবে। নিজেকে বোঝাতে হবে, আমার পাশে সবাই রয়েছে। পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ, কোচ— সবার কাছ থেকে প্রয়োজনে সাহায্য নিতে হবে। এই সময়ে সকলেরই আর্চারের পাশে দাঁড়ানোটা ভীষণ দরকার।’’