সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ জয় পেলেন রাজস্থানের বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক শচীন পাইলট। এর পরেও তিনি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন নিশ্চিত নন। গত সপ্তাহে শচীন ও অপর ১৮ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ডিসকোয়ালিফিকেশনের নোটিস দেন স্পিকার সি পি যোশি। নোটিসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান শচীনরা। হাইকোর্ট যাতে নোটিসের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত বলেছে, হাইকোর্ট রায় দিতেই পারে। হাইকোর্টের রায় কী হবে, আগামী দিনে কংগ্রেস শচীনদের বিরুদ্ধে আরও কোনও পদক্ষেপ নেবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। শচীন ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, তিনি যদি ডিসকোয়ালিফাই হন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে।
শচীন ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, ‘আমি যদি আদালতে জয়লাভ করি, দলের অভ্যন্তরে লড়াই চালিয়ে যাব।’ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অভিযোগ করেছিলেন, শচীন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর সরকার ফেলার চেষ্টা করছেন। শচীন বলেন, ‘আমি সরকার ফেলার চেষ্টা করব কেন? আমার লক্ষ্য কংগ্রেসের নেতৃত্বে বদল আনা।’
শচীনের কথায়, ‘অশোক গেহলট আমার নিন্দা করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস হাইকম্যান্ড আমাকে তিরস্কার করেনি।’ কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা শচীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে শচীন যেন আলোচনার আগে কোনও শর্ত না দেন। শচীনকে আগেই রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছেন স্পিকার। এরপরেও গান্ধী পরিবার চায়, তিনি কংগ্রেসে থাকুন।
গত বছর রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের পর প্রবীণ অশোক গেহলোট যখন মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তখনই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন শচীন। গেহলোটের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চরমে ওঠে গত সপ্তাহে। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী দু’বার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন। সেখানে বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট সহ ১৯ জন বিধায়ক উপস্থিত হননি। এরপরে স্পিকার নোটিস দিয়ে জানতে চান, তাঁদের ডিসকোয়ালিফাই করা হবে না কেন? বিদ্রোহীরা বলেন, তাঁরা কংগ্রেস ত্যাগ করেননি। তাঁরা চান, দলের নেতৃত্ব বদলানো হোক। কপিল সিব্বল অবশ্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলেন, বিদ্রোহীরা যেভাবে পরিষদীয় দলের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন, তা দলত্যাগ করারই শামিল।