রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকবেই। কিন্তু সেই বিরোধিতা করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে ফেলার ‘কালচার’ বোধহয় বিজেপিই এই রাজ্যে নতুন করে আমদানি করছে। যেমন করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে অশালীন ভাষা প্রয়োগ ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর সেই অভিযোগেই রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বর্ধমান জেলার তৃণমূলের নেত্রীবৃন্দ। বুধবার বর্ধমান থানায় রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
২১ জুলাই অর্থাৎ গতকাল, তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল সভার পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাহুল সিনহা। সেখানেই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুল। তৃণমূলের অভিযোগ, রাহুল সিনহা যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা কোনও রুচিশীল, ভদ্রমানুষ করেন না। সেই কারণেই রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগকারিনী শঙ্করী দে, মণিকা মণ্ডলদের কথায়, “এই বিজেপি নেতা রাজ্যের একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, আপামর বঙ্গবাসীর কাছেও তা ভীষণই লজ্জাজনক। একজন মহিলার কাছে তা খুবই অসম্মানজনক। তাই আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় চলতি বছরে ভার্চুয়ালি ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবস পালন করেছে তৃণমূল। সেভাবেই বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই একুশের নির্বাচনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন যে, আগামী বছর চক্রান্ত ও করোনাকে হারিয়ে বৃহত্তর ২১ জুলাই পালিত হবে। আর মমতার এই মন্তব্যকে নিয়েই বিদ্রুপ করেছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা-সহ বিজেপির অনেক নেতারা। সেখানেই তৃণমূল নেত্রীকে লক্ষ্য করে কদর্য ভাষায় আক্রমণ শানান রাহুল।