গত বছর ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। বিদেশেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের পাঠ্যপুস্তকে সাড়ম্বরে যুক্ত করা হচ্ছে সেই ৩৭০ ধারার বিলু্প্তির কথা। স্বাধীনতা ইস্তক জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া, অধুনা বিলুপ্ত ৩৭০ ধারার ‘অপ্রয়োজনীয়তার’ বিষয়ে জানবে, পড়বে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রের ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ (এনসিইআরটি) প্রস্তাবিত দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে ‘আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা’ অধ্যায়ে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি যুক্ত করেছে। বাদ পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির অধ্যায়। সম্প্রতি, সিবিএসই-র পাঠক্রম থেকে নাগরিকত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, দেশভাগের মতো অধ্যায় বাদ পড়ায় দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার, জম্মু-কাশ্মীরের পাঠক্রমের জন্য আলাদা অধ্যায় রেখে নতুন বিতর্কের মুখে ‘এনসিইআরটি’।
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের যুক্ত হওয়া অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, ৩৭০ ধারা থাকার ফলে দেশে কী কী ক্ষতি হয়েছে। লেখা হয়েছে, ওই বিশেষ অনুচ্ছেদের ফলে অনেক মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। জঙ্গীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিরীহ মানুষ, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য করার বিষয়টিও পাঠ্যে সবিশেষ উল্লেখ আছে। সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে এ-ও আছে যে, মেহবুবা মুফতির সরকারের কার্যকালে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এবং ৩৭০ ধারার আওতায় জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও, সেখানে হিংসা, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ এবং অরাজকতা বজায় ছিল।