নিজেদের জীবন বিপন্ন করে করোনা রোগীদের সেবা করে চলেছেন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনা যোদ্ধাদের জন্য ইতিমধ্যেই বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহ্বান জানিয়েছেন, সকলে যেন তাদের পাশে থাকেন এবং তাদের সহায়তা করেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্য। কলকাতার বেহালা অঞ্চলের সরশুনায় ঘটনা। ভাই করোনা রোগীদের সেবায় ব্যস্ত, দাদাকে বেধড়ক মারধর করল প্রতিবেশীরা। ‘অপরাধ’, তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মহেশতলা সেফহোমের চিকিৎসক সৈকত বসুর দাদাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল সরশুনা এলাকায়। অভিযোগের তীর প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। সৈকতের দাদা বাড়ি থেকে বেরোনোয় তাকে ব্যাপক মারধর করে প্রতিবেশীদের কয়েকজন। লোহার রড দিয়ে মারার পরে বাইকের গরম সাইলেন্সার দিয়ে পা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সরশুনা থানার পুলিশ।
সৈকত জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি প্রথম থেকেই তাদের বাড়ির উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। মুষ্টিমেয় কিছু পাড়ার লোকের দাবি ছিল, তিনি বাড়িতে আসার ফলে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে এলাকায়, সেই কারণে তাদের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হবে। কিন্তু তার কথায়, চিকিৎসা শেষে মাঝে মাঝে তিনি যখন বাড়ী ফিরতেন তখন তিনি সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতেন। বাড়ির আর কোনো সদস্যের সঙ্গে কোনো সংযোগ থাকতো না।
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের একাধিক জায়গায় ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে ডাক্তার ভাইয়ের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে দাদার মার খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।