আই ভারা প্রসাদ নামে এক দলিত যুবক সোমবার গুরুতর আঘাত নিয়ে ভর্তি হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে। মায়ের সামনেই মারধর করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর বাড়ি ইস্ট গোদাবরী জেলার ভেদুলাপল্লী গ্রামে। ভারা প্রসাদ জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে তাঁদের গ্রামের এক বাসিন্দা মারা যান। তাঁর শেষকৃত্যের সময় ভারা প্রসাদ ও গ্রামের আরও কয়েকজন যুবক কয়েকটি বালির লরিকে যাতায়াতে বাধা দেন। সেই থেকে শুরু হয় অশান্তি।
বালিভর্তি ট্রাকগুলির মালিক ছিলেন এক স্থানীয় রাজনীতিক। তিনি ভারা প্রসাদকে গাড়ির ধাক্কা দেন। এই পর্যায়ে ওয়াই এস আর কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযোগ, তিনি স্থানীয় থানার এক আন্ডার ট্রেনিং সাব ইনসপেক্টরকে ডেকে পাঠান। তাঁকে বলেন, ভারা প্রসাদকে শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে তার চাকরি পাকা করার ব্যবস্থা তিনি করবেন।
ভারা প্রসাদ জানান, ‘পরদিন সেই সাব ইনসপেক্টর ও দুই কনস্টেবল আমাদের গ্রামে উপস্থিত হন। আমাকে এবং আরও দু’জনকে তদন্তের নামে ধরে নিয়ে যান থানায়। সেখানে বেল্ট দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। লাথিও মারেন। একজন ক্ষৌরকর্মীকে ডেকে আমার মাথা ও গোঁফ কামিয়ে দেন।’
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে পুলিশের ডিজি গৌতম সাওয়াং অভিযুক্তদের নিন্দা করেন। ওই সাব ইনস্পেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের ডিআইজি কে ভি মোহন রাও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে তফসিলী জাতি-উপজাতি নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সীতানগরম পুলিশ যেভাবে ওই যুবকের ওপরে অত্যাচার করেছে, তা খুবই লজ্জাজনক। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।’ তেলুগু দেশম নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু টুইটারে ওই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। পরে লিখেছেন, অন্ধ্রে জঙ্গলরাজ ফিরে এসেছে। কংগ্রেস নেতা হর্ষ কুমার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন।