শারীরিক অবস্থার অবনতির ফলে আইসিইউতে নেওয়া হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেসের দাপুটে নেতা সোমেন মিত্রকে। তাঁর রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। কিডনি সমস্যা দেখা দিয়েছে। সব দিক বিবেচনা করেও সোমেন মিত্রকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোনও আশঙ্কার কারণ নেই।
সোমেন মিত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে একরকম অস্থির হয়ে উঠেিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তাঁকে বারবার করে ঘরের বাইরে বেরোতে বারণ করা হলেও মাঝে মাঝেই কথাই শুনতে চাইতেন না তিনি। আজীবন রাস্তায় রাজনীতি করা সোমেন মিত্রের পক্ষে গৃহবন্দি হয়ে থাকা এক প্রকার অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমফানের মতো পরিস্থিতিতে রাস্তাতেই থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। কিন্তু বাঁধ সাধে বার্ধক্য ও করোনার জোড়া ফলা।
এছাড়া খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেেও কিছু অনিয়ম করতেন তিনি বলে অনুযোগ করছিলেন শ্রীমিত্রর পরিবারের আপনজনেরা। তবে এই দোলাচলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়েছে, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। সোমেন মিত্রের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
সোমেনবাবু প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর নয়াদিল্লির এইমস বা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে চেকআপের জন্য যান। তবে এবার দীর্ঘ লকডাউন এর জন্য তাঁর পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই পরিবার তাঁকে বেলভিউ নার্সিং হোমে ভর্তি করে বৃহস্পতিবার।উদ্দেশ্য ছিল, রুটিন চেকআপ।
গত বৃহস্পতিবার হৃদযন্ত্রের সাধারণ পর্যবেক্ষণের (রুটিন চেকআপ) জন্য সোমেন মিত্রকে মিন্টো পার্কের বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তিনি যে কেবিনে ছিলেন সেই ফ্লোরটি গোটাটা করোনা ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় সাবধানী ছিলেন চিকৎসকরা। বয়স, শারীরিক পরিস্থিতি সব দিক খতিয়ে দেখে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে তাকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হয়।