এবছর টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত রাখা হয়েছে। এই ঘোষণার মাঝেই আইপিএল আয়োজন নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আমিরশাহিই এখন আইপিএল আয়োজনের দৌড়ে ফেভারিট। বিশেষ করে আমিরশাহির যেখানে অতীতে আইপিএল করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু হয়েছে।
আমিরশাহি কর্তারা জানিয়েছেন, দুবাই, আবু ধাবি এবং শারজায় তাঁরা ম্যাচের আয়োজন করতে চান।
আটটি দলের ক্রিকেটারেরা থাকবেন হয়তো দুবাইয়েই। প্রত্যেকটি দলকে আলাদা হোটেলে রাখারই ব্যবস্থা করা হবে। দুবাই থেকে আবু ধাবি বা শারজা যেতে উড়ান ধরতে হবে না। সড়ক পথেই যাওয়া সম্ভব। বিমানবন্দরে যাওয়ার ঝক্কি নেই বলে সংক্রমণের উদ্বেগও কম।
জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের শেষ শনি বা রবিবার চালু করা হতে পারে আইপিএল। দিনে দু’টো করে ম্যাচ বাড়িয়ে তাতেও শেষ করতে নভেম্বর হয়ে যাবে। ৩ ডিসেম্বর থেকে বিরাট কোহলিদের প্রস্তাবিত অস্ট্রেলিয়া সফর রয়েছে। অন্যান্য দেশেরও সিরিজ রয়েছে। তাই বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়াও সমস্যার হতে পারে।
তবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির কী হবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে সম্পূর্ণ ভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কহীন। দুবাই বা কলম্বো যেখানেই যেতে হোক, সেখানে অনেক আগেই পৌঁছে চাইছে দলগুলি। অন্তত এক মাসের শিবির করার ভাবনা রয়েছে তাদের।
যদিও এ দিন বোর্ড ও আইপিএলের বিভিন্ন দলের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, নানা প্রশ্ন এখনও থেকে যাচ্ছে। ‘আইপিএল করব’ বললেই করা সম্ভব হবে না-ও হতে পারে। যেমন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে তাঁদের সংশ্লিষ্ট আইপিএল দলে যোগ দিয়ে প্রত্যেককে দেশের মধ্যে ১৪ দিনের নিভৃতবাস পর্ব সারতে হবে বলে কথা হয়েছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন, বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে কী করা হবে? তাঁদের কি ভারতে আসতে বলা হবে? কারও কারও পরামর্শ, আইপিএল আমিরশাহিতে হলে বিদেশি ক্রিকেটারদের তাঁদের দেশ থেকে সরাসরি দুবাইয়ে চলে যেতে দেওয়া হোক। সেখানে গিয়ে তাঁরা নিভৃতবাস পর্ব সেরে নিন।
তবে সব দিক সামলে সেপ্টেম্বরে আইপিএল হবে কি হবে না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।