এবার অন্য একুশে জুলাই। আগেরদিন রাত বা সেইদিন ভোর থেকে জেলা থেকে কলকাতামুখী জনতার ভিড় নেই, নেই ধর্মতলা চত্বরে বাড়তি নজরদারি। করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃণমূলের শহীদ দিবসে এবার পালিত হচ্ছে বুথে বুথে। নিয়ন্ত্রিত, সীমিত আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। আর তৃণমূল নেত্রী নিজের বক্তব্য রাখবেন কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে। তা শুনতে সকলের ভরসা এবার সোশ্যাল মিডিয়া। দলের ফেসবুক থেকে শুরু করে সবরকম সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হবে ঘরে ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দিতে। সেসব নিয়ে আজ টুইট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
১৯৯৩ সালের এই দিনে যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন সংগঠনের ১৩ জন কর্মী। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও জখম হন পুলিশের লাঠির ঘায়ে। ওই দিনটাকে স্মরণে রেখে প্রতি বছর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পালিত হয় শহীদ দিবস। সেই ইতিহাসের কথা স্মরণ করে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আজ টুইট করেছেন মমতা।
এবছর করোনার দাপট বিশ্বজুড়ে। তাই ২১জুলাইয়ের মতো তৃণমূলের বার্ষিক মেগা ইভেন্ট পালিত হচ্ছে না চিরাচরিতভাবে। টুইটারে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর জন্য এবার অনেক বিধিনিষেধ, তাই অন্যভাবে শহিদ দিবস পালনের কথা ভাবতে হয়েছে। এবছর বুথ স্তরে পালিত হচ্ছে ২১ জুলাই। তবে ২৫ জনের বেশি নেতা, কর্মী, সমর্থকদের জমায়েত করা বারণ। এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছেন মমতার।
দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে বুথে বুথে। এরপর তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে বক্তব্য রাখবেন কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে। ঘরে বসেই এবছর তা শুনবেন রাজ্যবাসী। এই পরিকল্পনার কথা নিজেই আজ টুইট করে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবদিক থেকে করোনার কারণে এবছরের একুশে জুলাই একেবারে অন্যরকম হতে চলেছে।