রাজ্যের পালাবদলের নেপথ্যে বড় ভূমিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকরণ অভিযানের। ২১ জুলাই, এক আবেগের নাম। যুব কংগ্রেসের সেদিনের মহাকরণ অভিযান ঘিরে শহীদ হন ১৩ জন। যুব কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ছিল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই নিজে আইনজীবী হওয়ায় সটান পৌঁছে যান ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
৯ জুলাই আইনজীবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উকিলের কালো পোশাক পড়ে সওয়াল করেন ৬ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। ২ টি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ৪৩ জন যুব কর্মীকে। যাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাগুলি আজও বিচারাধীন।
৪৩ যুব কর্মীর বিরুদ্ধে ২ টি পৃথক মামলা হয়। পার্ক স্ট্রিট ও হেস্টিংস থানায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩৩২, ৪২৭, ৪৩৫ ধারায়। পাশাপাশি বিস্ফোরক এবং অস্ত্র আইনে মামলা হয় যুব কর্মীদের বিরুদ্ধে। হেস্টিংস থানার মামলা এখনও বিচারাধীন ষষ্ঠ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চে এবং পার্ক স্ট্রিট থানার মামলাটি চলছে ১৭তম মেট্রো পলিটান ম্যাজিস্ট্রেট এজলাসে। ১৮-২০ জনের নাম-ঠিকানা সঠিক হওয়ায় তাদের সমন পাঠায় ব্যাঙ্কশাল আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। বাকি ২৩-২৫ জনের হদিশই দিতে পারেনি পুলিশ তাই মামলা এখনও চলেছে ঢিমেতালে। একুশে জুলাইয়ের ঘটনার ৫ বছর পর কলকাতা পুলিশ চার্জশিট দেয় আদালতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত চার্জ ফ্রেম করা যায়নি।
টানা ২৭ বছর এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী অলোককুমার দাস। তাঁর কথায়, ‘একই ঘটনায়, একই সময়ে দুই পৃথক থানায় কীভাবে অভিযুক্তরা উপস্থিত থাকতে পারেন তার সদুত্তর খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলা খারিজ করার আবেদন করেছি বারবার।’ চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ও ২১ এপ্রিল মামলা দুটির শুনানির দিন ছিল। লকডাউনের কারণে স্বাভাবিক ভাবেই তা পিছিয়ে গেছে। করোনা আবহে এখনই শুনানির সম্ভাবনা কম।