প্রকাশ্যে এল এনকাউন্টারে নিহত কানপুরের ডন বিকাশ দুবের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ৬ বার গুলি করা হয়েছিল বিকাশকে। তার মধ্যে ৩টি গুলি বিকাশের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে বিকাশের শরীরে মোট ১০টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। যার মধ্যে ৬টি বুলেটের ক্ষত।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে হ্যামারেজ এবং শকের কারণে মৃত্যু হয়েছে গ্যাংস্টারের। বুলেটের আঘাতই বিকাশের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট ছিল।
বিকাশ দুবের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে একটি গুলি তার ডান কাঁধের পাশে লেগে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর দু’টি গুলি লেগেছিল বুকে। তারপর সেই দুটো বুলেট শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। তবে কতদূর থেকে বিকাশের দিকে গুলি করা হয়েছিল সে ব্যাপারে রিপোর্টে কিছু বলা হয়নি। তবে এসটিএফের সঙ্গে বিকাশের যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। কারণ বিকাশের যে কটা গুলি লেগেছিল সবকটিই এসেছিল সামনের দিক থেকে। বুলেটের ক্ষত ছাড়া বাকি আঘাতের চিহ্ন পালানোর সময় পড়ে গিয়ে বা অন্য কোনও ভাবে লেগেছে বলে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
তবে এই এনকাউন্টার নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়ে গেছে, রয়ে গেছে সন্দেহও। বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলেছেন এই এনকাউন্টারের সত্যতা নিয়ে। বলা হয়েছে গ্রেফতারের পর সেদিন বিকাশের গাড়ি না উল্টালে সরকার উল্টে যেত। তাই বিকাশের এই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।