বিশ্বে দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের গতি। ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। এখন মানুষ শুধু অপেক্ষা করছে ভ্যাকসিনের। তবে এখনও অবধি করোনার কোনো প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি৷ বিশ্বজুড়ে প্রায় শ’খানেক সংস্থা করোনার টিকা আবিষ্কারের প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে ভারতও আছে। এই মুহূর্তে করোনার টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে দেশের সাতটি সংস্থা উপরের সারিতে।
ভারত বায়োটেকের ওষুধ ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়ে গবেষণা অনেকটাই এগিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ওষুধটির হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সাফল্যে এলেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যাবে ভারত বায়োটেক।
বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট এবছরের শেষের দিকেই বাজারে করোনার ‘প্রতিষেধক’ আনার ব্যাপারে আশাবাদী।
জুদাস ক্যাডিলার ZyCov-D’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। জুদাস ক্যাডিলার দাবি, আগামী মাস সাতেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে তাঁদের তৈরি করোনার ‘প্রতিষেধক’।
আয়ারল্যান্ড এবং আমেরিকার সংস্থা রেফানার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করোনার টিকা প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে প্যানেনকা বায়োটেক। এঁরা মোট ৫০ কোটি প্রতিষেধকের ডোজ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে ৪০ কোটি বাজারে আসবে আগামী বছরেই।
ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যাল ভ্যাকসিন একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থা। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করোনার ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছে।
বায়োলজিক্যাল ই সংস্থাটিও বেশ কিছুদিন ধরে করোনার টিকা তৈরির চেষ্টা করছে। এদের তৈরি ওষুধও প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে।
মিনভ্যাক্সের তৈরি ওষুধ এখন প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে আছে। সরকারে কাছে এরা ১৫ কোটি টাকা সাহায্য চেয়েছে করোনার টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্যে।