বাংলার বেশ কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলেও হতে পারে বলে আজ খানিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাংলা তথা গোটা দেশেই বর্তমানে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এহেন গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রত্যেক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এখন থেকে করোনা চিকিৎসার জন্য কোভিড ইউনিট থাকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার। আজ এমনটাই জানিয়েছেন নবান্নের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো এবং রোগীদের থাকার ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, “বাংলায় করোনা পরিস্থিতি এখন যেই অবস্থায়, তা সামাল দেওয়ার একমাত্র উপায় হল বেশি বেশি করে নমুনা পরীক্ষা করা এবং পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা। সেটা করতে ইতিমধ্যেই আমরা পরিকল্পনা করেছি রাজ্যের প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ইউনিট থাকবে।” উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে গড়ে ১২-১৩ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। একে দিনে অন্তত ২৫ হাজারে নিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
সবার প্রথম দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের প্রত্যেক হাসপাতালে এই কোভিড ইউনিট তৈরির কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যেহেতু কলকাতার পরই এই এলাকাগুলিতে সংক্রমণ সর্বাধিক, তাই এই জেলায় কোভিড ইউনিট আগে তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষত জেলা স্তরের হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো ও মান ভালো করাই একমাত্র বিকল্প বলে জানিয়েছেন তিনি। একমাত্র সেটা হলেই শহরের হাসপাতালগুলির উপর চাপ কমবে এবং ভারসাম্যের জায়গা আসবে।