করোনা আবহে এবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহীদ দিবসের অন্য ছবি। এবছর ২১ জুলাই আর দেখা যাবে না ধর্মতলামুখী তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের স্রোত। কীভাবে পালিত হবে এবছরের একুশে জুলাই, তার রূপরেখা আগেই স্থির করে দিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথে বুথে শহিদ দিবস উদযাপন করা হবে। বাকি অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে যেহেতু মূল কর্মসূচি হবে না, সেই কারণে নেত্রীর বার্তা শোনার জন্য পাড়ায় পাড়ায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। দিনটিকে উৎসর্গ করে ‘সকল বাধা ছিন্ন করে জাগে যৌবন নতুন সুরে’ শীর্ষক একটি গানও লিখেছেন নেত্রী। সুর দিয়ে সেটি তৈরি করে ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শহীদ দিবসে সারাদিনই এই গান বাজানো হবে। ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাস্ক পরে, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই কর্মসূচি পালনে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার নেত্রী যে বার্তা দেবেন, তা দলের ফেসবুক পেজ, নেত্রীর পেজ-সহ সমস্ত নেতা, মন্ত্রীর একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ বা প্রোফাইল থেকে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে নেত্রীর পেজের লিংক ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে এক ঘণ্টা সেই কর্মসূচি হবে। এরপর ঠিক দুপুর ২টোয় কালীঘাটে নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে অডিও বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ধর্মতলায় শহিদ তর্পণ হবে প্রতি বছরের মতোই। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সেখানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুধু দলের রাজ্য সভাপতি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মেয়ো রোডের পুলিশের গুলিতে মৃত ১৩ শহিদের বেদি তৈরি করে সেখানে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাবেন শীর্ষ দুই নেতা। দলের তরফে এই দু’জনের বাইরে কেউ শহিদ তর্পণে থাকবেন না। তৃণমূল ভবনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনকে।