করোনা আবহে চিকিৎসক, নার্সরা যেহেতু পেসেন্টদের সংস্পর্শে থাকছেন তাই বারংবার বাঁধা পেয়েছেন পাড়ায় থাকতে কিন্তু এবার নিজের ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে বাধা পেলেন স্বয়ং বিডিও সুরশ্রী পাল। রবিবার আরামবাগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লিতে সুরশ্রীর ভাড়াবাড়ি। বাড়ির মালিক এবং প্রতিবেশীরা করোনা প্রসঙ্গ তুলে সেখানে থাকা যাবে না বলে তাঁর পথ আগলান এবং বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। বিডিও তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও কাজ না-হওয়ায় মহকুমাশাসক এবং পুলিশকে ফোন করেন।
হুগলির গোঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ জন করোনা আক্রান্ত হওয়াতেই রবিবার নিজের ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে বাধা পেলেন বিডিও সুরশ্রী পাল।
বাসিন্দাদের দাবি, বিডিও আগে করোনা পরীক্ষা করান, তারপর এখানে থাকবেন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আরামবাগ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। রীতিমতো কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেয় তারা। এই ঘটনায় পুলিশ বাধাদানকারী ন’জনকে আটকও করেছে।
বিডিও বলেন, “ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছিলাম যখন, তখন পঞ্চায়েত সমিতিতে করোনা আক্রান্তের প্রসঙ্গ তুলে ঝামেলা হয়। ওঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। পরে ঝামেলা মিটে যায়।” মহকুমাশাসক (আরামবাগ) নৃপেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘আমরা তো এলাকার মানুষের জন্যেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে মানুষ সচেতন নন। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। বোঝানো হচ্ছে।”
করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম সদস্য তথা এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘‘এ ধরনের আশঙ্কা একেবারেই অমূলক। নাক-মুখ মাস্কে ঢেকে রাখা এবং ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার যে সতর্কবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে, সেটাই আসল। বিডিও, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছেন”। আতঙ্কে বা গুজবে, সর্বত্রই যেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ।