ক্রমশ অবনতি হচ্ছে আসামের বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার গ্রাসে এখনও পর্যন্ত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার অসম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন বন্যায় আরও ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানিয়েছেন, অসমের বন্যায় প্রায় ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গোটা আসামে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠছে, তখন বন্যা পরিস্থিতিও আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রাজ্যের কাছে দুটোই কঠিন চ্যালেঞ্জের। এখনও মানুষ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে।
আসাম স্টেট ডিজাজটার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের প্রায় ৩১টি জেলায়। রাজ্যের মোট সাড়ে চার হাজার গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ। গোটা রাজ্যের প্রায় ৩১৮১ টি গ্রাম জলের তলায়। মোট ৮৭.৬০৭ হেক্টর জমির শস্য সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের মোট ২৪টি জেলায় ৩২৭টি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই ত্রাণকেন্দ্রগুলিতে প্রায় ১৭ হাজার জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
ধীমাজি, বিশ্বনাথ, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবাসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়ার বিস্তৃণ এলাকা এখন বন্যা কবলিত। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরপেটা জেলার। এই জেলায় প্রায় ৭.৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এর পরেই মরিগাঁও, সেখানে বন্যার কবলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। ব্যাপক বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছেই, এবার ফুঁসতে শুরু করেছে বরাক নদও। ফলে আরও পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ছে আসামে।