ভারতে তৈরি হয় প্রথম করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আরও খানিকটা ত্বরান্বিত হল। এবার ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিল দিল্লী এইমসও। শুক্রবার এইমসের এথিকস কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিল্লী এইমসে মোট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘প্রতিষেধক’ দেওয়া হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
উল্লেখ্য, কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী ভারত বায়োটেক গত ১৫ জুলাই নিজেদের তৈরি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। সূত্রের খবর, দেশের মোট ১২টি প্রথম সারির হাসপাতালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘ভ্যাকসিন’ প্রয়োগ করা হবে। দস্তুর মেনে ‘ডবল ব্লাইন্ড’ পদ্ধতি মেনেই বেছে নেওয়া হচ্ছে এই ৩৫৭ জনকে। ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ১৫ জুলাই বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ‘প্রতিষেধক’ প্রয়োগও করা হয়েছে। সবার প্রথমে পাটনা এইমসে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।
১৫ জুলাই শুরু হলেও এখনও অবধি দিল্লী এইমসে কোনও স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এখনও এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। এইমস সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই মোট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে। এদের প্রত্যেকের বয়স হবে ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে। এদের কারও মধ্যে কোনও কো-মর্বিডিটি থাকবে না। এই ১০০ জনকে মোট ১৫০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লী এইমস এই ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর নাম নথিভুক্তকরণ শুরু করেছে। প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। অন্য কোনও ক্রনিক রোগ আছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তবেই তাঁদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে এই ওষুধ।