ক্রমশ জটিল হচ্ছে রাজস্থানের রাজনৈতিক সমীকরণ। শুধুই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ নয়, কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অডিও ক্লিপ, রিসর্ট বিতর্ক, বিজেপির পাল্টা সিবিআই দাবি সব নিয়েই চরমে বিতর্ক। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তাঁর দলের প্রতি আস্থা অর্জনে মরিয়া রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। গতকালই ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির ২ বিধায়কের সমর্থন পেতেই ভেল্কি দেখানো শুরু করে দেন গেহলট। সূত্রের খবর, এবার গেহলট আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট সদলবলে এখন দিল্লীতে। যতক্ষণ না আদালতের ফল হাতে আসছে, দিল্লীতে থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, তাঁর হাতে ৩০ বিধায়ক রয়েছে, তবে, গেহলট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ১০৯ বিধায়ক নিয়ে অনায়াসে ফ্লোর টেস্টে আস্থা অর্জন করতে পারবে তাঁর সরকার। অঙ্ক বলছে, যদি বিদ্রোহী ১৯ বিধায়কের পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে ২০০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াবে ৯১। কংগ্রেসের তখন দাঁড়াবে ৯০। কিন্তু মাত্র ৭৩ বিধায়ক নিয়ে সরকার তৈরি করা বিজেপির পক্ষে কার্যত অসম্ভব।
কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়ক ভানওয়ার লাল শর্মার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের টেলিফোনে কথপোকথন প্রকাশ্যে আসতেই নতুন মোড় নেয় মরু রাজ্যের রাজনীতি। কংগ্রেস দাবি করে, সরকার ভাঙাতে বিজেপি যে ষড়যন্ত্র করছে এই অডিও টেপই প্রমাণ। বিজেপির পাল্টা দাবি, এই অডিও টেপে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যে কন্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তা পুরোপুরি সাজানো। সিবিআই দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্ট করুক কংগ্রেস। পাশাপাশি তোপ, কংগ্রেস যদি বিধায়কদের ফোনে আড়ি পাততে শুরু করে, তাহলে ভীষণ সংবেদনশীল বিষয়।