একদিকে করোনা, অন্যদিকে ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে আসামের বিস্তীর্ণ অংশ৷ ভাসছে কাজিরাঙা৷ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় থাকা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ৫১টি পশু বন্যায় মারা গিয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর৷
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কাজিরাঙা জঙ্গলের ৯৫ শতাংশই জলের তলায়৷ কাজিরাঙা সংলগ্ন ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷
একাধিক বাঘ ও গণ্ডার প্রাণে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় খুঁজতে ঢুকে পড়েছে৷ একটি বন্য মোষ বন্যায় বাঁচতে খিদের জ্বালায় গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করছে৷ কাজিরাঙার জঙ্গলে বনকর্মীরা নৌকা নিয়ে ঢুকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, ৪টি একশৃঙ্গ গণ্ডার জলের ডুবে মারা গিয়েছে৷ তিনটি বাঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গিয়েছিল৷ তাদের জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, গণ্ডার-সহ ১২৫টি বন্যপ্রাণীকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে৷
২৩৩টির মধ্যে ৮০টি শিকার-দমন ক্যাম্প ভেসে গিয়েছে জলে৷ কাজিরাঙা সংলগ্ন জাতীয় সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ কারণ, গাড়ি চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে ১৪টি হরিণের৷