ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হওয়া উচিত ১৪ এপ্রিল। কারণ, ১৯৪৪ সালের ওই দিন মণিপুরের মইরাঙ্গ দখল করে পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ ফৌজ। ব্রিটিশদের তাড়িয়ে সেদিন স্বাধীন ভারতের প্রথম অধ্যায় রচনা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিশ্বস্ত সৈনিক কর্নেল শওকত আলি মালিক ও তাঁর সিপাহিরা। বাকিটা ইতিহাস। সেই স্মৃতি উসকে সম্প্রতি মণিপুরে মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্রভাণ্ডার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিস্মৃত অধ্যায় গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মণিপুর। সেখানে জাপ বাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে ভয়ানক লড়াই হয় ব্রিটিশ সেনার। শুরুর দিকে মণিপুর ও নাগালল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক দখল করে ফেলে আজাদ হিন্দ ফৌজ। তারপর কোহিমা ও ইম্ফলের যুদ্ধে রসদের অভাবে পরাজিত হয়ে বার্মার পথে পিছু হটতে বাধ্য হয় জাপ ও আজাদ হিন্দ ফৌজ। সেসব যুদ্ধের কথা ফের স্মরণ করিয়ে দিল মণিপুরে উদ্ধার হওয়ায় অস্ত্রগুলি।
গত বৃহস্পতিবার মাটি কাটতে গিয়ে একটি বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পান এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মণিপুরের তেংনোপাল জেলার মোরেহ টাউনে। সেখানে বাড়ি তৈরি করার জন্য মাটি কাটছিলেন এক ব্যক্তি। তখনই বেশ কয়েকটি বাক্স ও বোমা দেখতে পান তিনি। আতঙ্কে তড়িঘড়ি কাজ ফেলে পড়শিদের কাছে ছুটে যান তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই সেখানে ভিড় করে জনতা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মোরেহর পুলিশ আধিকারিক সংবই গাঙতে জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি মাটি কাটতে গিয়ে একটি বড় অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পান। খবর পেয়ে ওই হাতিয়ারগুলি লোকালয় থেকে সরিয়ে নেয় বম্ব স্কোয়াড। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে অস্ত্রগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের। উদ্ধার হওয়া হাতিয়ারগুলির মধ্যে রয়েছে, ২৭ বোমা, ৪৩টি বোমার খোলা, কার্তুজ ও প্রায় ১৫টি বাক্স। তবে সেগুলি ব্রিটিশদের না জাপানি সেনার তা এখনও জানা যায়নি।