মোট আক্রান্তের নিরিখে আগেই চীন, ইরান, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তারপরেও বেলাগাম সংক্রমণে রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। তবে এই পরিস্থিতিতেও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ইউজিসি। নানাভাবে একাধিক আবেদন জানানো হলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তারা এখনও সরে আসেনি। এ নিয়ে এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পরীক্ষা বাতিলের দাবি সেখানে খুব স্পষ্টভাবে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহামারীর মহা প্রকোপের জেরে স্কুল-কলেজে ক্লাস বন্ধ। ইতিমধ্যেই সমস্ত রকমের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেও ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একরোখা মনোভাব দেখাচ্ছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইউজিসি’র কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে এই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। কিন্তু অনুনয়-বিনয়ে কাজ না হওয়ায় এবার সোজা আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছে শিবসেনা।
নিজের পিটিশনে আদিত্য ঠাকরে দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য, উৎকণ্ঠা ও সুরক্ষার কথা চিন্তা করছে না। পিটিশনে আরও লেখা হয়েছে, ‘কোভিড ১৯ একটা জাতীয় বিপর্যয়। যেই প্রেক্ষিতে ইউজিসি’র উচিত ছিল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা। মনে হচ্ছে, দেশ বর্তমানে যেই সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটা ইউজিসি এখনও বুঝে উঠতে পারেনি।’ পরীক্ষা দিতে গিয়ে শুধু সংক্রমণের ভয় রয়েছে এমনটা নয়। যাওয়ার পথে নানা মাধ্যম পেরিয়ে যেতে গিয়ে যদি পড়ুয়াদের সংক্রমণ হয় সেই দায় কেন্দ্র নেবে কিনা প্রশ্নও তোলা হয়েছে পিটিশনে। উল্লেখ্য, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।