এক সপ্তাহ ধরে শোনা যাচ্ছিল, হরিয়ানার মানেসরে দু’টি বিলাসবহুল রিসর্টে রয়েছেন রাজস্থানের ১৮ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক। শুক্রবার ভানওয়ারলাল শর্মা নামে এক বিধায়কের খোঁজে সেখানে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দু’টি রিসর্টে একজনও বিধায়কের খোঁজ মেলেনি। শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে রাজস্থান পুলিশকে।
শুক্রবার কংগ্রেস অভিযোগ করে, ভানওয়ারলাল শর্মার সঙ্গে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের কথা হয়েছিল। তাঁরা রাজস্থানে সরকার ফেলে দেওয়ার কথা আলোচনা করছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিধায়ক কেনাবেচার কথাও বলছিলেন। প্রমাণ হিসাবে কংগ্রেস তিনটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে। এই অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নেমেছে রাজস্থান পুলিশ। তারা ভানওয়ারলাল শর্মার ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার জন্য মানেসরের রিসর্টে গিয়েছিল।
রিসর্টে ঢোকার সময় রাজস্থান পুলিশকে বাধা দেয় হরিয়ানা পুলিশ। রিসর্টের বাইরে রাজস্থান পুলিশের গাড়ি আটকে রাখা হয়েছিল প্রায় একঘণ্টা। পরে অবশ্য তাদের রিসর্টে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। রাজস্থান পুলিশ অভিযোগ করেছে, বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকার তদন্তে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি।
রাজস্থানে গত কয়েকদিনে বার বার বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট অভিযোগ করেন, শচীন পাইলট নিজে বিধায়ক কেনাবেচায় জড়িত। অবশ্য শুক্রবার রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ে অবশ্য শচীন ও তাঁর অনুগামীরা স্বস্তি পেয়েছেন। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার অবধি শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না স্পিকার সি পি যোশী। বিদ্রোহীদের কেন ডিসকোয়ালিফাই করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছিলেন স্পিকার। নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল শুক্রবারের মধ্যে।