এনতিনি যেন একবপুরোনো বিতর্ক নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিলেন। প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার বলে দিলেন, জাতীয় দলে খেলার সময় সারা ক্রিকেটজীবনেই একাকীত্বে ভুগতেন। কেউ সে ভাবে তাঁর সঙ্গে কথাই বলতে চাইত না। আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী যে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ অভিযান শুরু হয়েছে, সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট নিয়ে এই কথা বলেছেন এনতিনি।
তিনি জানান, “খেলার সময় আমি বরাবরই একাকী ছিলাম। ডিনারে যাওয়ার কথা বলতে কেউ আমার ঘরের দরজায় কখনও কড়া নাড়েনি। সতীর্থরা আমার সামনে দাঁড়িয়েই সব পরিকল্পনা করত আমাকে বাদ দিয়ে। প্রাতরাশ সারতে যখন আমি আসতাম, একা থাকতাম। কেউ আমার সঙ্গে বসত না। আমরা একই জার্সি পরে মাঠে নামতাম। একই জাতীয় সঙ্গীত গাইতাম। কিন্তু আমাকে সারাক্ষণ এই একাকীত্বের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হত।’’
আবেগরুদ্ধ ভাবে এর পর আরও সাংঘাতিক কথা বলছেন, ‘‘আমি একাকীত্ব থেকে পালাতে চাইতাম। কী করব? যদি আমি বাসের পিছনের সিটে গিয়ে বসতাম, ওরা সামনের দিকে চলে যেত। যখন দল জিতত, সব কিছু ঠিকঠাক চলত। দল হারলেই প্রথম কাঠগড়ায় দাঁড় করানো গত আমাকে। সবার আগে আমাকে দায়ী করা হত হারের জন্য। আমার ছেলেকেও একই জিনিসের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট শিবিরে ও নানা কারণ দেখিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে”।
তিনি এমনও বলেছেন যে, এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রায়ই টিমবাসে করে যেতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অন্যতম সেরা পেসার বলছেন, “বাসের ড্রাইভারের সঙ্গে দেখা করে ওর হাতে আমার ব্যাগটা দিয়ে দিতাম। তার পর দৌড়ে দৌড়ে মাঠে যেতাম। ফেরার সময়েও একই কাজ করতাম। বাসে না উঠে দৌড়ে দৌড়ে ফিরে আসতাম”।
এখন ৪৩ বছর বয়স এনতিনির। নামী প্রাক্তনদের মধ্যে জাক কালিস, শন পোলক, মার্ক বাউচার, লান্স ক্লুজনারদের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। এনতিনির এমন চাঞ্চল্যকর কথাবার্তা নতুন করে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষ বিতর্ক জাগিয়ে তুলতে বাধ্য।