এ বার অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুললেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। তাঁর দাবি, আগের বার রাজস্থানে ক্ষমতায় থাকাকালীন একই কাজ করেছেন গেহলট। বিএসপি-কে ঠকিয়ে তাঁর নিজের বিধায়কদের দল ভাঙিয়ে কংগ্রেসে টেনে নেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজস্থানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও তুলেছেন মায়াবতী।
রাজস্থানের সরকার ফেলতে সদ্য উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়ানো শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ককে বিজেপি টাকার টোপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গেহলট। ওই রাজ্যে গেহলট বনাম টিম শচীনের দ্বৈরথের জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও শচীন-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়কের তথাকথিত কথোপকথনের একাধিক অডিও টেপ। রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যে সরকার ফেলতে রাজস্থানের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত সক্রিয়। শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে মিলে গেহলট সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিলেন শেখাওয়াত। একটি অডিও টেপে শোনা গিয়েছে শচীন-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক ভাঁওয়ার লাল শর্মার সঙ্গে বিজেপি নেতা তথা ব্যবসায়ী সঞ্জয় জৈনের কথোপকথন। তাতে অর্থের বিনিময়ে সরকার ফেলার কথাও শোনা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের ওই অডিও টেপের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তা নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপি তরজা শুরু হয়েছে। এই আবহে গেহলটের বিরুদ্ধে সরাসরি বিধায়ক কেনার অভিযোগ এনে বিএসপি সুপিমো মায়াবতীর দাবি, ফোনে আড়ি পেতে গহীন অপরাধ করছে রাজস্থান সরকার। গেহলট সরকারকে বরখাস্ত করে রাজস্থানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও তুলেছেন মায়াবতী।
মায়াবতীর মতোই গেহলটকে বিঁধেছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মন্ত্রী রমেশ মিনা। গেহলটের অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর প্রশ্ন, বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে আনার জন্য কত টাকার টোপ দেওয়া হয়েছিল? আগের বার রাজস্থানে ক্ষমতাসীন থাকার সময় বিএসপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন মিনা। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সত্যি করে বলা উচিত, গত কংগ্রেস সরকারের সময় বিএসপি ছেড়ে আমরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সময় আমাদের কত টাকা করে দেওয়া হয়েছিল!’