দিন কয়েক আগেই সচিন পাইলটের ‘বিদ্রোহে’ মরুরাজ্যে নড়েচড়ে বসেছিল ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই যেন অন্য ছবি রাজস্থানে। কোথায় সেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন! আর কোথায়ই বা সরকার পড়ার ভয়!
জয়পুরের পাঁচতারা হোটেলে এখন দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন অশোক গেহলট শিবিরের কংগ্রেস বিধায়করা। অন্তত ছবি সে কথাই বলছে। সকালে নিয়ম করে চলছে যোগ ব্যায়ামের ক্লাস। একটু বেলার দিকে কয়েকজন মহিলা বিধায়ক রান্নার তালিম নিচ্ছেন পাঁচতারা হোটেলের প্রধান শেফের থেকে। আর সন্ধের পর চলছে চুটিয়ে সিনেমা দেখা। বাইরে যে এত ঝড় বয়ে যাচ্ছে, এর বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে, ওঁর বাড়িতে আয়কর হানা হচ্ছে — সেসব নিয়ে যেন কোনও হেলদোলই নেই বিলাসবহুল হোটেলে থাকা কংগ্রেস বিধায়কদের।
শুধু কি রাজনীতি! করোনা সংক্রমণ নিয়েও যেন গেহলট শিবিরের বিধায়কদের কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হোটেলের লনে যোগ ব্যায়াম করছেন বিধায়করা। কিন্তু তাঁদের কারও মুখে মাস্ক নেই। অনেকে আবার সামাজিক দূরত্ব বিধিও মানছেন না। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে ব্যায়াম করছেন। হোটেলের প্রধান শেফের কাছে কেউ কেউ নতুন নতুন রেসিপিও শিখছেন। শুধু তাই নয়। জানা গিয়েছে, গতকাল, শুক্রবার রাতে হোটেলের একটি বড় হলে বসে ‘মুঘল-এ-আজম’ দেখেছেন গেহলটপন্থী কংগ্রেস বিধায়করা।
অন্যদিকে, পাইলট শিবিরের ১৮ জন বিধায়কও রিসর্টে রয়েছেন। তবে তাঁরা কেউ রাজস্থানে নেই। হরিয়ানার মানেসৌরের দুটি রিসর্টে রাখা হয়েছে তাঁদের। তা নিয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতারা পাইলটের তীব্র সমালোচনা করেছেন। রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার অভিযোগ, বিজেপির আতিথ্য নিচ্ছেন সচিন। বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় গেরুয়া শিবিরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের রেখেছেন তিনি। যদিও সচিন জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে যাবেন না। গান্ধী পরিবারের সামনে তাঁকে অপদস্ত করতেই এই ধরনের ভিত্তিহীন কথা রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।