মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন সচিন পাইলট। আর তা নিয়েই রাজস্থান কংগ্রেসে তৈরি হয়েছে তীব্র সংকট। এই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে একাধিক আঞ্চলিক দল। এবার যেমন কংগ্রেসের বর্তমান সংকটকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্য বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা শুরু করে দিল আম আদমি পার্টি(আপ)। দলের মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা জানিয়ে দিলেন আপ-ই এখন বিকল্প, কারণ কংগ্রেস দলটি ভেন্টিলেটরে চলে গিয়েছে।
সারা দেশ যখন করোনার থাবায় থরহরিকম্প, তখন রাজনৈতিক দলগুলি ‘নোংরা রাজনীতি’ করছে বলে অভিযোগ আপ-এর। একমাত্র তাজা রক্ত ও সজীব শক্তিই হতে পারে দেশের ভবিষ্যত বিকল্প। কংগ্রেসের নিজেদেরই কোনও ভবিষ্যত নেই ফলে তারা দেশকে ভবিষ্যতে কোনও দিশা দেখাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন চাড্ডা। রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গে আপ মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের এই গভীর সংকট মুহূর্তে অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের দেশে একটি রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়ক বিক্রি করে এবং আর একটি রাজনৈতিক দল সেই বিধায়কদের কেনে।’
সাংবাদিকদের কাছে তিনি আরও বলেন, ‘সমগ্র ভারত রাজস্থানে তৈরি হওযা রাজনৈতিক নাটক দেখছে। এই ধরনের নোংরা রাজনীতি দেখে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত আহত বোধ করছে। যখন সারা দেশ অতিমারীতে আক্রান্ত তখন এই নোংরা রাজনৈতিক দৃশ্য দেখাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ আপ-এর দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রের পরিস্থিতি দেখে ভোটাররা শোকাহত। বিজেপি ও কংগ্রেসের এই নতুন নোংরা রাজনীতির কারণে কে, কাকে ভোট দিচ্ছেন তার ওপর এখন আর কিছু নির্ভর করে না।’
কংগ্রেসের সংকটের কথা উল্লেখ করে চাড্ডা জানান, ‘আজ এটা পরিষ্কার কংগ্রেস দলটি ভেন্টিলেটরে চলে গিয়েছে। কোনও প্লাজমা চিকিৎসা, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বা রেমডেসিভিয়ার এই দলটির আসন্ন মৃত্যু ঠেকাতে পারবে না।’ মানুষ এখন আম আদমি পার্টির মধ্যেই বিকল্প খুঁজতে চাইছেন বলে দাবি করে আপ মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা জানি সারা দেশ জুড়ে আপ-এর বিশাল সাংগঠনিক শক্তি নেই। কিন্তু আমরা এটাও জানি, ভারতের সাধারণ জনগণ বুঝতে পেরেছে আমরাই এখন একমাত্র বিকল্প দল যাদের মধ্যে দিয়ে তাদের আশা পূরণ হতে পারে।’
১২৫ বছরের পুরনো কংগ্রেস ‘বৃদ্ধ এবং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে’ বলে কটাক্ষ করে চাড্ডা বলেন, ‘এই দলটির (কংগ্রেস) জেতার ক্ষমতা নেই, দলের সদস্যেদের একসঙ্গে ধরে রাখার উদ্যম নেই এবং নিজেদের বিধায়কদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। একের পর এক রাজ্যে দলটি ভেঙ্গে পড়ছে। কংগ্রেসের হয়ে কিছু বিধায়ক জিতছে আর তারপর তারা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে।’ দিল্লীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরি চাড্ডার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টুইট করে বলেছেন, ‘যদি আপনারা কেজরিওয়ালকে ভোট দেন তাহলে আপনারা অমিত শাহকে পাবেন দিল্লী শাসন করার জন্য। কংগ্রেস আপনাদের এরকম কোনও দ্বিচারিতার প্রস্তাব দেবে না।’