আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে ভারতের সমস্ত ক্লাবকে আসন্ন ২০২০-২১ মরশুমে লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য সম্মতিসূচক ই-মেল পাঠাতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম ইস্টবেঙ্গল। এই মেল করার জন্য ফেডারেশনের তরফে আরও সাতদিন সময় বেশি পেল লাল-হলুদ বাহিনী। এআইএফএফ সচিব কুশল দাস বৃহস্পতিবার এক ই-মেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে জানিয়েছেন, “আপনারা কোয়েসের সঙ্গে সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে নিন। আপনারা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেডের নামে লাইসেন্স করতে চান কি না তা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জানিয়ে দিলেই হবে।”
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কুশল দাস জানিয়েছিলেন, “লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসার জন্য ইস্টবেঙ্গল পর্যাপ্ত সময় পাবে।” এবার সেই কথাই রাখলেন ফেডারেশন সচিব। গত দু’মাস ধরেই প্রতিটি পদক্ষেপেই ইস্টবেঙ্গলের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফেডারেশন। এমনকি লাল-হলুদকে আইএসএলে খেলার যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছে এফএসডিএলও। লকডাউনের মধ্যে তারা তিনবার একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করেছে। টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণকারী দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এছাড়াও আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ওয়ার্কশপ পিছিয়ে করেছে অক্টোবরে।
লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা ফুটবল হাউসের এক গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক জানালেন, “জুনের শেষ সপ্তাহে কোয়েস জানিয়েছিল স্পোর্টিং রাইটস তাদের কাছে আছে। তাই কোয়েস ইস্টবেঙ্গলকে এএফসি’র দেওয়া লাইসেন্সিং সংক্রান্ত নথি পাঠানো হয়েছে। এবার ওদের সামনে দু’টি পথ। হয় লাইসেন্স করার জন্য সম্মতি দিতে হবে। না হলে এনওসি সহ ওই সব নথি ইস্ট বেঙ্গলকে পাঠিয়ে দিতে হবে। কোয়েসের শর্ত তো ইস্টবেঙ্গল মেনে নিয়েছে। তাই আইনমত এনওসি শীঘ্রই পাঠাতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তবেই লাইসেন্সিং পরীক্ষায় বসতে পারবে কলকাতার এই অন্যতম প্রধান ক্লাব।