পুজোর আগেই চালু হয়ে যেতে পারে মাঝেরহাট সেতু। ইতিমধ্যেই তিনবার সেতু চালু হওয়ার কথা থাকলে, তা হয়নি। পরবর্তীতে লকডাউনের জেরে সেতুর কাজ চালানোর ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় রাজ্য পূর্ত দফতরকে। তবে পুজোর আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে ব্রিজের কাজ। ফলে চালু হয়ে যাবে ব্রিজ, আশাবাদী পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা।
বেহালা বা নিউ আলিপুর শুধু নয়, মাঝেরহাট সেতু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগণার জন্যে। ফলে পুজোর আগে এই সেতু চালু হয়ে গেলে গঙ্গাসাগর যাত্রীদের সুবিধা হবে। মাঝেরহাট সেতু চালু হয়ে গেলে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি, বাস, মিনিবাস চলবে এমনটা নয়। সেতুর ওপর দিয়ে প্রচুর পণ্যবাহী কন্টেনার যাতায়াত করবে। সেতুর নকশা এমন ভাবে করা হয়েছে, যাতে ৩৬০ টন ওজনের গাড়ি চলাচল করতে পারে। পূর্ত দফতর আশাবাদী, চলতি বছরেই চালু হয়ে যাবে নয়া মাঝেরহাট সেতু।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নয়া মাঝেরহাট সেতু অনেকটাই দেখতে হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো। কলকাতায় বিদ্যাসাগর সেতু ও নিবেদিতা সেতু কেবল স্ট্রেট সেতু। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ সোমের মতে, নয়া মাঝেরহাট সেতু দেখতে হচ্ছে অনেকটা বিদ্যাসাগর সেতুর মতো। কারণ সেতুর পিলার বা পাইলন অনেক উচুঁ। যা নিবেদিতা সেতুর ক্ষেত্রে অনেকটাই নীচু। গার্ডার বা ডেক কেবল মারফত এই পিলারের সঙ্গে জুড়তে হবে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, শীঘ্রই সেই কেবল টানার কাজ শুরু হতে চলেছে।
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ সোমের বক্তব্য, “এই ধরণের সেতু এখনকার সময়ে বিশেষ উপযোগী। তবে কেবল প্রতি মুহূর্তে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তাই ইঞ্জিনিয়রদের সেতু রক্ষণাবেক্ষণের কাজে সর্বদা নজর দিতে হবে।”
ইতিমধ্যেই শেষ করা হয়েছে রেল লাইনের ওপরে থাকা গার্ডার বসানোর কাজ। ৭৬ মিটার লম্বা এই গার্ডারকে মোট ছ’টি অংশে ভাগ করা হয়েছিল। সেই অংশগুলিকে ধাপে ধাপে বসানো হয় রেল লাইনের ওপরের অংশে। লকডাউনে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই শিয়ালদহ-বজবজ শাখার লাইনের ওপরে পাওয়ার ব্লক বন্ধ করে কাজ করতে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে