একজন বন্ধুকে হারিয়েছেন। আরেকজনকে তাই সহজে ‘হাত’ছাড়া করতে চান না রাহুল গান্ধী। একটা সময় ছিল রাহুল গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং শচীন পাইলটদের মধ্যেই দলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতাদের দেখতে পেত কংগ্রেস। এদের মধ্যে একজন ইনিমধ্যেই রাহুলের সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছেন। আরেকজনও সেদিকেই পা বাড়িয়ে । সিন্ধিয়াকে রাহুল আটকানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেননি। কিন্তু পাইলটের ক্ষেত্রে শেষ চেষ্টা করে দেখতে চান তিনি। অন্তত কংগ্রেস সূত্রের এমনটাই দাবি।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, শচীন পাইলটের কংগ্রেস ত্যাগ আটকাতে এবার নিজেই আসরে নেমেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। নিজের দূত মারফৎ রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন, ‘কংগ্রেসের রাস্তা এখনও খোলা আছে।’ এমনকী, পাইলটকে তুষ্ট করতে অশোক গেহলটের কাছেও সংযত হওয়ার বার্তা গিয়েছে রাহুলের তরফ থেকে। সূত্রের খবর, বিদ্রোহ ঘোষণার পর থেকেই রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি পাইলট। কিন্তু রাহুল প্রিয়াঙ্কার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আলোচনা চালানোর চেষ্টা করছেন। এমনকী, রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানোর পরও রাহুল পাইলটের কাছে ‘দলে ফিরে আসা’র বার্তা পাঠিয়েছেন।
এদিকে, ডানা ছাঁটা হচ্ছে গেহলটেরও। পাইলট রাজস্থান ত্যাগ করার পর থেকেই তাঁর উদ্দেশে একের পর এক কটাক্ষ করছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে ছিল ব্যক্তিগত আক্রমণও। বুধবারও গেহলট পাইলটকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘আজকালকার নেতারা অল্প বয়সেই অনেক কিছু পেয়ে যায়। সেজন্যই গুরুত্ব বোঝে না। খালি ভাল চেহারা আর ভাল ইংরেজি জানা থাকলেই বড় নেতা হওয়া যায় না।’ সূত্রের খবর, গেহলটের এই মন্তব্যে বেজায় চটেছেন রাহুল। তাঁকে পাইলট সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু এসবের পরেও কী রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দলে ফিরবেন? প্রশ্ন থাকছেই। কারণ নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি পাইলট।