মহারাষ্ট্রে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তেত সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে ঘটছে প্রাণহানীও। তবে এরই মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে নজির গড়েছে মুম্বইয়ের ধারাভি বসতি। ঠিক একইভাবে সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে কলকাতার বেলগাছিয়া বসতিও। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশংসা কুড়িয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বসতি ধারাভি। তাহলে কেন প্রশংসা পাবে না কলকাতার অন্যতম বৃহত্তম এই বসতি? কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের মডেল হওয়া উচিৎ বেলগাছিয়া বসতির। এই দাবি জানিয়ে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তনু সেন।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় রোজ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কলকাতার বিভিন্ন বসতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। তুলনায় আবাসন ও ফ্ল্যাট বাড়িতে সংক্রমণ অনেক বেশি। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, ধারাভিতে আক্রান্ত হয়েছেব ২৩০০ জন। সেখানে এক লক্ষের বেশি জনসংখ্যার বেলগাছিয়া বসতিতে সংক্রমিতের সংখ্যা মাত্র ১৪। দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন বাদে সকলেই সেরে উঠেছেন। নিসন্দেহে এই বসতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া প্রশংসনীয়। এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চিঠি লিখেছেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেন।
তিনি বলেন, ‘বেলগাছিয়া বসতিতে যখন প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল, সকলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। অনেকে ভেবেছিলেন, বসতি এলাকায় ভয়ংকর আকার নেবে এই সংক্রমণ। কিন্তু তা হয়নি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। এটা আমাদের নয়, ওখানকার মানুষের সাফল্য। তাঁরা প্রচুর আত্মত্যাগ করেছেন। সেই ত্যাগ আর প্রচেষ্টার প্রশংসা পাওয়া উচিৎ। বেলগাছিয়া বসতিতে গোটা দেশের মডেল করা উচিৎ।’
এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে শান্তনুবাবু জানান, প্রথম আক্রান্তের হদিশ মেলার পর থেকেই কলকাতা পুরসভা কড়া নজর রাখতে শুরু করে। শুরু হয় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। মাইক্রো প্ল্যানিং করে পুরসভা। ঘনঘন স্যানিটাইজ করা হচ্ছিল পুরো বসতি। এসবের পাশাপাশি, আইসিএমএরের নির্দেশিকা মেনে প্রত্যেক বসতিবাসীকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়েছে।
তবে বসতির বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভার তরফে তাঁদের কাউন্সিলিং করা হত। ঘরে থাকার জন্য বোঝানো হত। এই যুদ্ধজয় করতে তাঁদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে ওই কাউন্সিলিংই। অন্যদিকে, বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল সাংসদ তথা বেলগাছিয়ার কাউন্সিলর বলেন, বিজেপি এটা নিয়ে জাতপাতের রাজনীতি করতে শুরু করেছিল। কিন্তু লাভ হল না।