সংক্রমণ এড়াতে আইসিসি-র পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী চলছে ক্রিকেট। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অনেকের কৌতূহল ছিল রিভার্স সুইং নিয়ে। কারণ, রিভার্স করানোর জন্য বলের এক দিক থুতুর ব্যবহারে চকচকে ও ভারী করা হত। সেই প্রথায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি। কাজ চালাতে হচ্ছে ঘাম দিয়ে। এই পপরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটে সুইংয়ের অন্যতম শিল্পী ইরফান পাঠানের আশঙ্কা, রিভার্স সুইং হারিয়ে যেতে শুরু করল না তো?
ইরফান বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডে সুইং করাতে সমস্যা হয় না। ডিউকস বল বেশি সুইং করে। কারণ, ডিউকসের সিম এসজি অথবা কোকাবুরার চেয়ে উঁচু। হাওয়া কাটতে সাহায্য করে।’’ যোগ করেন, ‘‘সাউদাম্পটন টেস্টের দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডের প্রথম চল্লিশ ওভারে বল কিছুটা নড়াচড়া করছিল। বল পুরনো হতেই বন্ধ হয়ে গেল সুইং। অথচ পুরনো বলই রিভার্স সুইংয়ের জন্য আদর্শ।’’
ইংল্যান্ডের পরিবেশে কেন রিভার্স সুইং দেখা গেল না? ইরফানের ব্যাখ্যা, ‘‘থুতু দিয়ে বল পালিশ করার প্রথা বন্ধ হওয়ার জন্যই হয়তো এই পরিবর্তন। রিভার্স সুইং করানোর জন্য বলের এক দিক চকচকে রাখার সঙ্গেই ভারী করতে হয়। যে দিক ভারী, সে দিকে সুইং করে পুরনো বল। থুতুর সাহায্যে সহজেই রিভার্সের জন্য তৈরি করা যায় বল। কারণ, ঘামের চেয়ে থুতুর ওজন বেশি। ঘাম তুলনামূলক হাল্কা। এটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে।’’