করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবারই ফের কড়া ভাবে লকডাউন বিধি কার্যকর করার কথা জানিয়েছিল রাজ্য। গত বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কন্টেনমেন্ট জোনে ৭ দিন লকডাউন থাকবে। তবে পরিস্থিতির কথা বিচার করে এবার রাজ্যের সব কন্টেনমেন্ট জোনে লকডাউনের মেয়াদ আরও ৫ দিন বাড়ল। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে লকডাউন। একই সঙ্গে কলকাতা-সহ রাজ্যের ছয় শহরে আজ, ১৫ জুলাই বুধবার থেকে চালু হচ্ছে শহর-ভিত্তিক লকডউন। এই শহরগুলি হল কলকাতা, জলপাইগুড়ি, মালদহ, কোচবিহার, রায়গঞ্জ এবং শিলিগুড়ি।
মহারাষ্ট্র, দিল্লীর মত ভয়াবহ পরিস্থিতি না হলেও এ রাজ্যেও বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সব জেলার কনটেনমেন্ট জোনে সাত দিনের জন্য কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মেয়াদ আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল। একই সঙ্গে কলকাতা সহ রাজ্যের ছয় রাজ্যে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে শহর ভিত্তিক কড়া লকডাউন। এদিন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, রাজ্যের সর্বত্রই কন্টেনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
অন্যদিকে, রাজ্যের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রথম থেকেই বেশি। তবে সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে মঙ্গলবার। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু শহর কলকাতায় নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন ৫২৪ জন! সংখ্যাটি এ যাবৎ সর্বোচ্চ, যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরবাসীর। মঙ্গলবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য ভবন প্রকাশিত কোভিড বুলেটিনে এই তথ্য জানা গেছে। দেখা যাচ্ছে, কলকাতা শহরে এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৫৫০। যদিও গত কয়েক দিন ধরে যে ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ছিল সংক্রমণের, তা সামান্য কমেছে গতকাল ও আজ। কিন্তু কোনও রকমের ঝুঁকি না নিয়ে ফের একবার লকডাউনের শহর-ভিত্তিক লকডাউনের পথেই হাঁটল সরকার।