আটটি ভিডিও ক্লিপ। ২.৫ মিনিট দৈর্ঘের। যা পৌঁছেছে আড়াই কোটি রাজ্যবাসীর কাছে। করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে রাজ্য সরকারের অনুরোধে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর টিম। সেই ভিডিও বার্তায় সচেতন হয়েছেন মানুষ। কমেছে রোগ লুকানোর প্রবণতা, সেই সঙ্গে উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করানোর মতো পদক্ষেপ করেছে সাধারণ মানুষ। মোট কথা নোবেলজয়ীর ভিডিও বার্তায় কাজ দিয়েছে। এমনটাই নিজের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকর্মীরা। জনস্বাস্থ্য পরিষেবা মেসেজিংয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেই গবেষণাপত্রে।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, সচেতনতা বৃদ্ধিতে মোট ৮টি ভিডিও বার্তা রাজ্যের ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১,৮০০’র বেশি প্রাক্তন ও বর্তমান গ্রামীণ নেতাকে পাঠানো হয়। সেই ভিডিও বার্তায় জোর দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ রুখতে হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর। সচেতন করা হয়েছে করোনা রোগীদের সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানোর ব্যাপারে।
নোবেলজয়ীর গবেষণাপত্র অনুযায়ী, করোনা কালে মানুষের কাছে মেসেজের আকারে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের ভিডিও বার্তা অনেক গুরুত্ব রাখে। যে কারণে মানুষ সচেতন হয়েছেন। রোগ লুকায়নি, পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে। কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালন করেছে সাধারণ মানুষ। ভিডিও বার্তাগুলি রাজ্যের ১,২৬৪টা পিন কোডের মধ্যে ১,২১৪টি পিন কোড অঞ্চলে পাঠানো হয়। এই প্রজেক্টে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর স্ত্রী এবং নোবেলজয়ী এস্থার ডুফলো, এমিলি ব্রেজা, অরুণ জি চন্দ্রশেখর-সহ আরও অনেকে কাজ করেছেন। রাজ্যের কোভিড মোকাবিলায় তৈরি পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য ডা. অভিজিৎ চৌধুরি ও মার্সেলা আলসানের তত্ত্বাবধানে এই প্রজেক্টে কাজ হয়েছে।