যুদ্ধক্ষেত্রেই প্রাণ দিয়েছেন ওঁরা। তবু সরে আসেননি লড়াই থেকে। কেউ চিকিৎসক। কেউ নার্স। কেউ পুলিশ। কেউ সরকারি কর্মী। আক্রান্তদের সুস্থ করতে গিয়ে যাঁরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গিয়েছেন। হাল ছাড়েননি। অবশেষে মারণ রোগই কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। হার না মানা সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে এবার আস্ত একটা ‘কোভিড মেমোরিয়াল’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানেই আমজনতার স্মৃতিতে মরণ হতে জেগে উঠবেন ‘ফ্রন্ট লাইন ওয়ারিয়ার্স’রা!
সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিলেন এই লড়াইয়ে, তাঁদের কথা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে কোভিড মেমোরিয়াল। এই স্মৃতিসৌধ জানিয়ে দেবে, সভ্যতার এমন ভয়ংকর সংকটে কারা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। মানুষের সেবা করতে জীবন তুচ্ছ করেছেন। সমাজের প্রতি, মানবতার প্রতি এই মানুষগুলির অবদান বিশ্বের ইতিহাসে লিখে দিতেই এমন অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে হিডকো।
সূত্রের খবর, নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ১-এ এই মেমোরিয়াল গড়ে তোলা হবে বলে একপ্রকার নিশ্চিত। এর জন্য এক একরের কিছু কম জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে হিডকো। সম্ভবত বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের আশপাশের এলাকায় এই কোভিড মেমোরিয়াল করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে নকশার প্রস্তাব পাঠানোর কথা ঘোষণাও করেছে হিডকো।
কিছুদিন আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড একটি বৈঠক ছিল। কীভাবে করোনা-শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো যায়, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। সেখানেই ঠিক হয় তৈরি করা হবে মেমোরিয়াল। এর পরই বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে নকশা নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। তবে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে প্রস্তাব আকারে তা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি চূড়ান্ত সম্মতি দিলে তার পরই শুরু হবে তার বাস্তবায়নের কাজ।