একেই গোটা দেশে ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতি এবং তার জেরে প্রায় ৪ মাস ধরে জারি থাকা লকডাউন। এই জোড়া ফলায় করুণ দুর্দশা দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের। আর এই অবস্থাই বিহারে তুলে ধরেছে নীতিশ কুমারের ব্যর্থতা। এমনটাই মনে করছেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহা। আগে নীতীশ, লালু, কংগ্রেসের মহাজোটে ছিলেন। এখনও রয়েছেন। তবে নীতিশের জেডিইউ আর সেই মহাজোটে শরিক নন। বিহার ভোটের আগে তাই প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কুশওয়াহা।
কুশওয়াহা বললেন, বিহারবাসী নীতিশ কুমারকে ১৫ বছর সময় দিয়েছে। তাতে কিছুই করে উঠতে পারেননি নীতিশ। তিনি বারবার দাবি করেছেন, বিহারের মানুষ আর কাজের খোঁজে রাজ্যের বাইরে যায় না। বিহারে কর্মসংস্থানের অভাব নেই। কিন্তু কুশওয়াহার মতে, করোনা পরিস্থিতি আর লকডাউন সত্যিটা তুলে ধরল। কীভাবে পায়ে হেঁটে বা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চেপে লাখ লাখ বিহারি শ্রমিক কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরলেন, তা দেশ দেখেছে।
কুশওয়াহার ক্ষোভ বিহারের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, ক্ষমতায় আসার আগে নীতিশ দাবি করেছিলেন, ‘পড়াই’ (শিক্ষা), ‘দাওয়াই’ (স্বাস্থ্য), ‘কামাই’ (কর্মসংস্থান)–এর ছবিটা রাজ্যে বদলে দেবেন। এজন্য পাঁচ বছর সময় চেয়েছিলেন। কুশওয়াহার খোঁচা, বিহারবাসী তাঁকে ১৫ বছর সময় দিয়েছে। তবু ছবি বদলায়নি। উল্টে রাজ্যের চিনিকল, পাটকল বন্ধ হয়েছে। কুশওয়াহার অভিযোগ, নীতিশের আমলে অবনতি হয়েছে বিহারের আইন-শৃঙ্খলারও। লুঠপাট, ধর্ষণ, খুন, অপহরণ বেড়েছে। এই ভোটেই বিহারবাসী উচিত শিক্ষা দেবে নীতিশকে।