মধ্যপ্রদেশের ছায়া এবার রাজস্থানেও। সেখানে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই ক্ষত শুকানোর আগেই এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে বিরোধের জেরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিজেপিতে যোগের সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। সচিন পাইলট ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। রবিবার রাতেও দলের বৈঠকে যাননি তিনি। সোমবার তাঁর বাড়িতে দলের বিধায়কদের যে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকেও আসেননি সচিন। এই আবহে এবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির দফতর থেকে সচিনের সব পোস্টার সরিয়ে ফেলা হল। রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজই বরখাস্ত করা হতে পারে দলের সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকে। সবেমিলিয়ে রাজনৈতিক নাটক জমজমাট এখন রাজস্থানে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দলের সমস্যা নিয়ে দিল্লীতে দরবার করতে গিয়েছিলেন সচিন পাইলট। সেখানে খুব বেশি সুবিধে করতে পারেননি তিনি। জয়পুরে গেহলট শিবিরের তৎপরতাও তার প্রমাণ দেয়। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যা করা প্রয়োজন সেটাই করছেন গেহলট। আজ তাঁর বাড়িতে দলের বৈঠকে হাজির হয়েছেন দলের ৯০ বিধায়ক। অন্যদিকে দল যে ভাঙছে তা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছে গেহলট শিবির। এআইসিসির জেনারেল সেক্রেটারি পি এল পুনিয়া তো টুইট করেই দিয়েছেন, সচিন পাইলট এখন বিজেপিতে। যদিও, কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, কংগ্রেস সচিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
এদিকে, সূত্রের খবর সচিন পাইলটের সঙ্গে রয়েছেন ৩০ কংগ্রেস বিধায়ক। প্রকাশ্যে এখনও ঘোষণা না হলেও এরকমই দলীয় সূত্রে খবর। এদিকে, গেহলট শিবিরের দাবি তাদের সঙ্গে রয়েছেন দলের ১০৭ বিধায়ক। ফলে এবার বাকীটা অঙ্কের খেলা। উল্লেখ্য, রাজস্থানে বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২০০। তার মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে ৭৩ বিধায়ক। সচিনের ৩০ বিধায়ক ধরলে দাঁড়ায় ১০৩। কিন্তু তাতেও বিজেপির পক্ষে সরকার গঠন করা কঠিন, যদি না দল ভাঙানো না যায়। কংগ্রেসকে সরকার গঠনে সমর্থন দিয়েছিলেন ১০ নির্দল বিধায়ক। এছাড়াও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন আরএলডি, সিপিএম ও ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির ৫ বিধায়ক। ফলে সচিন বিজেপিতে নাম লেখালেও বিজেপির সামনে শক্ত পরীক্ষা।