কাউন্টাউন, পুজো পুজো গন্ধ, সব এবছর যেন ফিকে। হাতে আর মাত্র একশো দিন। অন্য বছর এই সময় সাজ সাজ রব, কাউন্টডাউন শুরু। কিন্তু এ বছর পুজো কমিটির কর্তাদের অনিশ্চয়তা কাটছেই না। আদেও পুজো হবে কিনা সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। সে ক্ষেত্রে কেমন হবে বারোয়ারি পুজোগুলোর আয়োজন? এ সব নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের আয়োজন করেছিল ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন ‘বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’ এবং ‘লন্ডন শারদ উৎসব’। ইংল্যান্ড ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরের পুজো কমিটির পাশাপাশি, কলকাতার বালিগঞ্জ কালচারাল এবং ভবানীপুর ৭৫ পল্লির পুজো উদ্যোক্তারা সামিল হয়েছিলেন তাতে। অংশ নিয়েছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’।
শনিবারের আলোচনা থেকে স্পষ্ট টেমস হোক বা গঙ্গার পাড় – এ বছর দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের গতি-প্রকৃতির উপর।
শনিবারের ওই আলোচনাসভার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘করোনাসুরমর্দিনী’।
ভবানীপুর ৭৫ পল্লি পুজো কমিটির সম্পাদক সুবীর দাস বলেন, ‘করোনাকালে কী ভাবে পুজো হবে, তা নিয়ে আমাদের পাশাপাশি ইংল্যান্ড, আমেরিকার পুজো কমিটিগুলিও দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তাই শনিবারের ওই ভিডিয়ো কনফারেন্স। আমরা সবাই সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। সরকার যে নির্দেশিকা দেবে, আমরা সেটাই মেনে চলব। বিদেশের পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও সে দেশের সরকারের মুখ চেয়ে রয়েছেন।
কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল অংশ নিয়েছিলেন ওই ভিডিয়ো কনফারেন্সে। তাঁর কথায়, ‘কুমোরটুলির শিল্পীদের অবস্থা খুব খারাপ। তাঁদের গোটা বছরের আয় হয় এই সময়টায়। কিন্তু এ বার পুজোর একশো দিন আগেও শিল্পীদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে। তবু আমি আশাবাদী। তাড়াতাড়ি সব ঠিক হয়ে যাবে।’