করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায় (৩৮)। জানা গেছে গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি।
বাড়িতে রয়েছে তাঁর স্বামী ও চার বছরের শিশু সন্তান। জানা গেছে দিন কয়েক আগেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই করোনা পজেটিভ ধরা পরে। ব্যারাকপুরে গিয়ে চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন তাঁরা। পরিবারসূত্রে জানা গেছে, দেবদত্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এম আর বাঙ্গুরে ভর্তি করারও চেষ্টা চলছিল। রবিবার বাড়াবাড়ি হওয়ায় তাঁকে শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাও।
২০১১ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার ছিলেন দেবদত্তা। পুরুলিয়া ২ ব্লকের বিডিও ছিলেন। সেখান থেকেই বদলি হয়ে এসেছিলেন চন্দননগর মহকুমায়। জানা গেছে, পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা ডানকুনিতে আসছিলেন তাঁদের থাকা খাওয়া ও রাখার ব্যবস্থা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন এই তরুণী আধিকারিক। তারপর নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন।
দমদম লিচুবাগানের বাসিন্দা ছিলেন দেবদত্তা। গতকাল শ্রীরামপুর শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সোমবার সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন দেবদত্তা রায়। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের আবহ চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে।